নাইমের ফাইফারে লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ

গল টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে প্রায় ছুঁয়েই ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগে লঙ্কানদের দলীয় সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ৪৬৫ রান। ৩০ রানে পিছিয়ে থেকে শুরু করেছিল দিনের দ্বিতীয় সেশন। স্বাগতিকরা লিডের দেখা পেতে পারেন, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছিল। তবে লাঞ্চের পর সেট হওয়া দুই ব্যাটারকে দ্রুত আউট করেন হাসান মাহমুদ মাহমুদ ও নাইম হাসান। মিলান রত্নায়েকের পর কামিন্দু মেন্ডিসও আউট হলে শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকদের ইনিংস থামে ৪৮৫ রানে। এতে ১০ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করবে বাংলাদেশ। 

চতুর্থ দিনে শ্রীলঙ্কাকে পথ দেখাচ্ছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস ও রত্নায়েকে। এ দুজন মিলে ৮৪ রানের জুটি গড়ে দলকে লিড এনে দেওয়ার পথে ছিলেন। সেঞ্চুরির পথে ছিলেন কামিন্দু আর রত্নায়েকেও ছিলেন ফিফটির পথে। তবে লাঞ্চের পর হাসানের করা দুই ডেলিভারিতেই এ দুজন ব্যক্তিগত মাইলফলক ছুঁতে ব্যর্থ হন। শ্রীলঙ্কাও ব্যর্থ হয় লিডের দেখা পেতে। ৮৭ রান করা কামিন্দুকে আউট করেন নাইম। এর আগেই অবশ্য রত্নায়েকেকে ফিরিয়ে জুটি ভেঙেছিলেন হাসান। 

 উইকেটে ৩৬৮ রান নিয়ে গতকাল তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা। ৩৭ রানে অপরাজিত থাকা মেন্ডিস আর ১৭ রানে অপরাজিত থাকা ধনঞ্জায়া ডি সিলভা আজ চতুর্থ দিনের ব্যাটিংয়ে নামে। দিনের শুরুতেই সাজঘরের পথ ধরেন ধনঞ্জায়া। নাইম হাসানের বলে উইকেট রক্ষক লিটন দাসের গ্লাভস বন্দী হয়ে ১৯ রান করে আউট হন এই ব্যাটার। 

এরপর ক্রিজে কামিন্দুর সঙ্গী হন কুশল মেন্ডিস। তবে এ জুটিও বড় হতে দেননি হাসান মাহমুদ। টাইগার এই পেসারের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে আউট হন কুশল। দ্রুত দুই উইকেট হারালেও পরে মিলানকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন কামিন্দু। 

এ দুজন মিলে প্রথম সেশনের বাকিটা বেশ ভালোভাবেই সামলেছেন। দুজন মিলে ৭৯ রানের জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কার স্কোরকার্ডে রান যোগ করেছেন। এ দুজনের ব্যাটেই এখন লিড নেওয়ার স্বপ্ন দেখছিল শ্রীলঙ্কা।

এদিকে প্রথম ইনিংসে বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন নাইম। তিনি পেয়েছেন ৫ উইকেটের দেখা। টেস্টে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো ৫ উইকেট পেলেন এই অফ স্পিনার। এছাড়া ৩ উইকেট পেয়েছেন হাসান। আর ১টি করে উইকেট পেয়েছেন তাইজুল ও মমিনুল হক। বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৯৫ রান করেছিল।