images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

চোকার তকমা ঘুচিয়ে প্রথম আইসিসি শিরোপা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

স্পোর্টস ডেস্ক

১৪ জুন ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম

১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭, ২০১৫ এরপর ২০২৩ সালেও আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে গেলেও ভারতের কাছে হেরে শিরোপা খোয়াতে হয় প্রোটিয়াদের। এ কারণে নামের শেষে অনেক আগে থেকেই জুটে গিয়েছিল চোকার তকমা। সেই চোকার তকমাই এবার ঘোচালো টেম্বা বাভুমার দল। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথমবারের মত এ টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে নিয়েছে বাভুমার দল। লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই ৬ উইকেটের জয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রোটিয়ারা। 

দক্ষিণ আফ্রিকা এর আগেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তবে ১৯৯৮ সালে জেতা ‘আইসিসি নকআউট ট্রফি’টি মেজর শিরোপার কাতারে পড়ে না। তাই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই শিরোপাই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম কোনো আইসিসি শিরোপা। 

দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের প্রথম শিরোপার দেখা পেল লর্ডসে দুর্দান্ত এক লড়াইয়ের পর। টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টেম্বা বাভুমা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রোটিয়া পেসাররা প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে অল আউট করেছিল প্রথম দিনেই, মাত্র ২১২ রানে। তবে নিজেরা প্রথম ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে ভয়াবহ ব্যাটিং ধসের শিকার হয়, গুটিয়ে যায় ১৩৮ রানেই। ফলে ৭৪ রানের লিডে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নামে অজিরা। 

Screenshot_2025-06-14_173941

তবে দুর্দান্ত বোলিংয়ে এবারও বাভুমার দলকে ম্যাচে ফেরান পেসাররা। ৭৩ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে অজিরা, তবে অ্যালেক্স ক্যারি আর মিচেল স্টার্কের লড়াকু ইনিংসে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া, প্রোটিয়াদের লক্ষ্য দেয় ২৮২ রানের। তবে এইডেন মার্করাম আর টেম্বা বাভুমার বীরত্বের কাছে এ লক্ষ্য কিছুই নয়। তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে এ দুজনের অপরাজিত ১৪৩ রানে জুটিতে জয়ের পুঁজি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। 

GtZtpdcawAANgGD

আজ চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমে বাভুমা শুরুতেই ফিরলেও মার্করাম দলের জয় নিশ্চিত করেই সাজঘরে ফিরেন। প্রোটিয়া এই ব্যাটার যখন আউট হন তখন জয়ের দরকার আর কেবল ৬ রান। ১৩৬ রান করে মার্করাম ফেরার পর দক্ষিণ আফ্রিকার শিরোপা জয় নিশ্চিত করেন ডেভিড বেডিংহাম ও কাইল ভেরেইনা। মিচেল স্টার্কের বলে চার মেরে শিরোপা জয় নিশ্চিত করেন ভেরেইনা।