images

স্পোর্টস / অন্যান্য

ফ্রেঞ্চ ওপেনে কী আর দেখা যাবে জোকোভিচকে?

স্পোর্টস ডেস্ক

০৭ জুন ২০২৫, ০১:১০ পিএম

ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ার পর কোর্ট ছাড়ার আগে ফিলিপ শাত্রিয়ের দর্শকদের উদ্দেশে শেষ বিদায় জানালেন নোভাক জোকোভিচ। র‍্যাকেটের ব্যাগ মাটিতে রেখে কাদা মাটির কোর্টের মাটি হাত দিয়ে স্পর্শ করে ছোয়ালেন হৃদয়ে, দর্শকদের উদ্দেশে হাত নাড়লেন- এক মুহূর্তে যেন থমকে গেল সময়। ৩৮ বছর বয়সে এসে প্যারিসের এই মঞ্চে সেটাই কি শেষবারের মতো ছিলেন জোকোভিচ? নাকি এটি ছিল শুধু ‘আঁ রিভোয়ার’- আরও একবার ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি?

তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ এবার সরাসরি সেটে হেরে গেছেন বর্তমান নাম্বার ওয়ান ইয়ানিক সিনারের কাছে। পরে সংবাদ সম্মেলনে নিজেই বললেন, “এই ম্যাচটিই হয়তো আমার রোলাঁ গারো ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। আমি জানি না। এ কারণেই শেষটা একটু বেশি আবেগঘন হয়ে উঠেছিল।” তবে এটাও বললেন, “যদি সত্যিই এটা হয় আমার বিদায়ী ম্যাচ, তাহলে পরিবেশ ও দর্শকদের ভালোবাসা ছিল অসাধারণ।”

ম্যাচে জয়ের জন্য সার্বিয়ান তারকাকে দারুণভাবে সমর্থন জানিয়েছে পুরো গ্যালারি। সামনে ছিল ২৫তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম একক খেতাব জয়ের একক রেকর্ড গড়ার সুযোগ। পাশাপাশি বয়সের বিচারে রেকর্ডও অপেক্ষা করছিল, রবিবারের ফাইনাল জিততে পারলে তিনিই হতেন সবচেয়ে বেশি বয়সী গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু জোকোভিচ পারলেন না সিনারের দুর্দান্ত প্রতিরোধ ভাঙতে। ৬-৪, ৭-৫, ৭-৬ (৭-৩) সেটে হেরে বিদায় নিতে হলো তাঁকে, ফাইনালে সিনারের প্রতিপক্ষ হচ্ছেন দ্বিতীয় বাছাই কার্লোস আলকারাজ।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে জোকোভিচ বলেন, “এখনই কিছু নিশ্চিত করে বলা কঠিন। এই বয়সে এক বছর অনেক লম্বা সময়। খেলতে চাই অবশ্যই, তবে ১২ মাস পর আবার এখানে খেলতে পারব কিনা, সেটা জানি না। আপাতত এটুকুই বলার আছে।” এই মৌসুমটা খুব একটা ভালো কাটেনি জোকোভিচের, যার ফলে অনেকেই তাঁর ফিটনেস ও মোটিভেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এমনকি তার দীর্ঘদিনের কোচ অ্যান্ডি মারের সঙ্গে বিচ্ছেদও ইঙ্গিত দিচ্ছিল, সবকিছু হয়তো আর আগের মতো চলছে না।

তবে জেনেভা ওপেনে নিজের ১০০তম এটিপি শিরোপা জিতে কিছুটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে এসেছিলেন প্যারিসে। আর সিনারের বিপক্ষে তাঁর লড়াই প্রমাণ করলো- অবসরের জন্য এখনই প্রস্তুত নন তিনি। জোকোভিচ বলেন, “এই চারটা গ্র্যান্ড স্ল্যামই এখন আমার শিডিউলের প্রধান লক্ষ্য। উইম্বলডন আর ইউএস ওপেন অবশ্যই খেলতে চাই। বাকিগুলোর ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছি না।”

উইম্বলডনে এবার তিনি নামবেন রেকর্ড-ছোঁয়া অষ্টম পুরুষ একক শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে। আগের দুই ফাইনালেই হেরেছেন আলকারাজের কাছে। “উইম্বলডন তো আমার শৈশবের প্রিয় টুর্নামেন্ট। সেখানে খেলার জন্য আমি সবকিছু করব। হয়তো সেখানেই আমার আরও একটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের সবচেয়ে বড় সুযোগ,” বলেছেন জোকোভিচ।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কথাও মাথায় রয়েছে তাঁর। আপাতত নিশ্চিত নয় কিছুই, তবে টেনিস বিশ্ব নিশ্চয়ই এখনও বলবে- জোকো, আঁ রিভোয়ার!