স্পোর্টস ডেস্ক
৩১ মে ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে নাটকীয় মোড় নিয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বিসিবি সভাপতি পদে আসেন সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। দায়িত্ব গ্রহণের আগেই তিনি তৎকালীন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অপসারণের ঘোষণা দেন। জানা যায়, প্রধান নির্বাচক থাকাকালীন হাথুরুর সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং সে সময় তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই হাথুরুকে বিদায় করার জন্য তৎপর হন ফারুক। শেষ পর্যন্ত তিনি সফলও হন।
২০২৩ সালের বিশ্বকাপ চলাকালে নাসুম আহমেদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করা হয়। তবে এই সিদ্ধান্ত বোর্ডের অন্য পরিচালকদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়াই নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, হাথুরুর অপসারণ প্রক্রিয়া ঘিরেই শুরু হয় ফারুকের বিরুদ্ধে অসন্তোষ।
শেষপর্যন্ত বিসিবির আট পরিচালক তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানান, যার ফলস্বরূপ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনসিএ) তার মনোনয়ন বাতিল করে। তার স্থানে বিসিবির নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
এদিকে, ফারুকের বিদায়ের পর অবশেষে মুখ খুলেছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। নিজের লিংকডইন প্রোফাইলে তিনি লিখেছেন, 'আমি সাধারণত আমার কাজকেই আমার পক্ষে কথা বলতে দেই। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে আবারও আলোচনায় এসেছি।' ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিবি সভাপতির অপসারণের একটি কারণ ছিল আমাকে বরখাস্ত করার পদ্ধতি। বোর্ডের সঙ্গে যথাযথ পরামর্শ ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মাঠে এবং মাঠের বাইরে স্বচ্ছতা, প্রক্রিয়া ও সম্মান সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।
হাথুরুসিংহে বারবার দাবি করেছেন, তিনি কোনো ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেননি। সহকারী কোচ নিক পোথাসও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাথুরু জানান,
“বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছিলেন, ‘তোমার চলে যাওয়া উচিত। বোর্ডের কাউকে বলার দরকার নেই, তোমার কি টিকিট আছে?’ এটা আমার জন্য ছিল এক ধরনের সতর্কবার্তা। তখনই আমি ভয় পেয়ে যাই। বিমানবন্দরে একজন কর্মকর্তা আবেগপ্রবণ হয়ে বলে্ ‘আমি দুঃখিত কোচ, যে আপনাকে যেতে হচ্ছে।’”