images

স্পোর্টস / ফুটবল

১৬ বছর আগে করা সেই গোলই মেসির সবচেয়ে প্রিয়

স্পোর্টস ডেস্ক

২৩ মে ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম

ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলছেন এখন, কিন্তু লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারের প্রিয় গোলটা এসেছে বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। ২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে করা সেই হেড গোলটাকেই নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে প্রিয় গোল হিসেবে বেছে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে মেসি বলেন, “আমি অনেক সুন্দর গোল করেছি, অনেকগুলো ছিল গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে। কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে করা হেডটা সবসময়ই আমার প্রিয়।”

সেই গোলটি ছিল বার্সেলোনার দ্বিতীয় গোল, যা নিশ্চিত করেছিল ২-০ ব্যবধানে জয় এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। ওই জয়ের মধ্য দিয়েই মেসি জিতেছিলেন নিজের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা।

৮ বার ব্যালন ডি’অর জয়ী এই কিংবদন্তি খেলোয়াড় ‘A Goal in Life’ নামের এক চ্যারিটি প্রজেক্টের অংশ হিসেবে এই গোলটিকে বেছে নিয়েছেন। এই প্রকল্পে তিনি যুক্ত হয়েছেন বিখ্যাত শিল্পী রেফিক আনাদল-এর সঙ্গে। একসঙ্গে কাজ করে তারা তৈরি করছেন এক অভিনব আর্টওয়ার্ক, যেখানে ফুটবলের মুহূর্ত রূপ নিচ্ছে শিল্পে।

মেসি বলেন, “আমি আগেই জানতাম, রেফিকের কাজ কতটা অসাধারণ। মায়ামিতে তার সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ হয়েছিল। এখন দেখার অপেক্ষা, কীভাবে তিনি একটি গোল, একটি খেলার মুহূর্তকে রূপ দেবেন এমন এক শিল্পকর্মে যা একেবারেই আলাদা।”

এই শিল্পকর্মে মেসি ও রেফিক দুজনই সই করবেন। এরপর সেটি নিউইয়র্কের বিখ্যাত ক্রিস্টিস নিলাম ঘরে নিলামে তোলা হবে। বিক্রির পুরো অর্থ ব্যয় করা হবে বিভিন্ন চ্যারিটি উদ্যোগে।

শিল্পী রেফিক আনাদল বলেন, “মেসির ওই গোল শুধু খেলার এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত নয়, এটি মানুষের আবেগ, স্মৃতি এবং গতির এক জটিল প্রকাশ। আমরা সেখানে বায়োসেন্সিং প্রযুক্তি ও উন্নত এআই সিস্টেম ব্যবহার করছি, যা ঐ বিশেষ ঘটনার ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষিত। এখানে ডেটা হয়ে উঠছে আবেগ, স্মৃতি হয়ে উঠছে রূপ।”

তিনি আরও যোগ করেন, “এই প্রজেক্ট আমাদের বৃহৎ লক্ষ্যকেও তুলে ধরে, সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে শিল্পের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনে অবদান রাখা। নিলামের সমস্ত অর্থ যাবে শিশুদের শিক্ষা ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে।”

মেসির ঐতিহাসিক গোলটির ছবি ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবল সংস্থা উয়েফা। সেইসঙ্গে 'A Goal in Life' ক্যাম্পেইনটি পরিচালনা করছে ইন্টার মায়ামি সিএফ ফাউন্ডেশন।

নিউইয়র্কের ক্রিস্টিস-এ আগামী ১১ জুন উন্মোচন করা হবে এই বিশেষ শিল্পকর্ম। ফুটবল, প্রযুক্তি আর মানবিকতার মেলবন্ধনে এটা হয়ে উঠতে পারে এক অনন্য উদ্যোগ।