images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

‘কোহলি আর আমি যাতায়াতের খরচ বাঁচিয়ে সেই টাকা দিয়ে খেতাম’

স্পোর্টস ডেস্ক

১৮ মে ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম

ভারতের অভিজ্ঞ পেসার ইশান্ত শর্মা মনে করেন, যারা বিরাট কোহলির সঙ্গে ছোটবেলা কাটিয়েছেন, তাদের কাছে তিনি কখনও ‘সুপারস্টার’ নন। তিনি সবসময়ই থাকবেন সেই পুরনো ‘চিকু’।

শনিবার স্টার স্পোর্টসের একটি অনুষ্ঠানে নিজের পুরনো বন্ধু কোহলিকে নিয়ে আবেগঘন স্মৃতির কথা জানান ইশান্ত। দিল্লি ক্রিকেটের শুরু থেকেই দু’জন একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, অনূর্ধ্ব-১৭ থেকে শুরু করে জাতীয় দলের ড্রেসিংরুম পর্যন্ত, সবখানেই ছিল তাদের সঙ্গ।

আরও পড়ুন- কেন মুখ ঢেকে কথা বলেন ফুটবলাররা?

আরও পড়ুন- ফুটবল ম্যাচে গোলকিপারদের জার্সি যে কারণে দলের সবার চেয়ে আলাদা

“বিরাট কোহলি অন্য সবার কাছে তারকা হতে পারে। কিন্তু আমার কাছে ও এখনো সেই চিকু, যার সঙ্গে আমি অনূর্ধ্ব-১৭ খেলেছি। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। ও আমার শৈশবের বন্ধু,” বলেন ১০৫ টেস্টে ৪৩৪ উইকেট নেওয়া ইশান্ত শর্মা।

g6hbvj5o_virat-kohli-ishant-sharma-afp_625x300_23_February_21

৩৬ বছর বয়সী এই পেসার ফিরে গেলেন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটের স্মৃতিতে। সেসব দিনে হোটেলের রুম শেয়ার, খরচ বাঁচানোর চেষ্টা আর খাওয়ার হিসেব করে চলার সময়গুলো এখনো স্মৃতিতে ভাসে।

তিনি বলেন, “আমরা যখন অনূর্ধ্ব-১৯ খেলতাম, তখন হিসেব করে খরচ করতাম। খাওয়ার টাকাও হিসেব করে খেতাম। ট্রাভেল অ্যালাউন্স বাঁচিয়ে রাখতাম। তখন থেকেই বিরাট আমার কাছে আলাদা ছিল। ওর মধ্যে কখনোই তারকা ভাব দেখিনি।”

তারকাখ্যাতি থাকলেও, ইশান্তের কাছে বিরাট এখনো সেই ছোটবেলার ভাই। তিনি বলেন, “ভাবো তো, তোমার ভাই এত উঁচু জায়গায় পৌঁছেছে। সবাই ভাবে, ও দারুণ কিছু। কিন্তু আমার চোখে সে এখনো মানুষ। আমি ওকে ভেতর-বাইরে চিনি। জানি ও কোথা থেকে এসেছে, ওর আসল রূপ কেমন।”

ishant-sharma-and-virat-kohli-120702125-16x9

সম্প্রতি একটি আইপিএল ম্যাচের আগে মাঠে দু’জনের আলিঙ্গনের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। পুরনো বন্ধুর দেখা পেয়েই যেন প্রাণ খুলে হাসছিলেন দুই জন। ইশান্ত জানালেন, তাদের আলাপচারিতায় কখনোই ক্রিকেট নিয়ে কথা হয় না, সবই হাসি-ঠাট্টা।

“আমরা যখন একসঙ্গে বসি, কেউ বলে না ‘তোরা কত টেস্ট খেললি’। এসব কথা হয় না। শুধু মজা-মাস্তি। এটাও হচ্ছে, ওটা হচ্ছে, এই লোকটাকে দেখ, ওই ঘটনাটা শুন। পুরোটাই মজার আলাপ। আমি কখনোই মনে করিনি যে ও বিরাট কোহলি। ও আমাদের কাছে সবসময়ই চিকু। ও আমাকে এখনো আগের মতোই দেখে। আমরা একসাথে ঘুমাতাম, একই রুমে থাকতাম।”