স্পোর্টস ডেস্ক
০৯ মে ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
২০১০ সালে সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিকের বিয়ে দুই দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। তবে বহু বছরের জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০২৪ সালের শুরুতে সানিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। এর কিছুদিন পর শোয়েব মালিক পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ের খবর দেন। এরপর মাঝে মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, টেনিস তারকা সানিয়া নাকি চুটিয়ে প্রেম করছেন। সম্প্রতি এসব নিয়ে; জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এবং সমাজ ব্যবস্থার চিত্র নিয়ে সানিয়া মুখ খুললেন ‘মাসুম মিনাওয়ালা’ পডকাস্টে।
সানিয়া বলেন, ‘এই পৃথিবীটা সমান নয়। একজন সন্তান জন্ম দিতে নারী ও পুরুষ দুইজনেরই অবদান থাকলেও, তারপরের দায়িত্ব নারীর কাঁধেই বেশি থাকে। পুরুষেরা কাজের জন্য বেরিয়ে পড়ে, ট্রিপে যায়, নিজেদের মতো সময় কাটায়। নারীরাও করে, কিন্তু সেই সঙ্গে ঘর ও সন্তানের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে করতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও অনেকে বলে তাঁদের স্বামী হ্যান্ডস-অন, তবু বাস্তবে সেটা ৫০-৫০ নয়। বরং ৭৫-২৫ ভাগই হয়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এমনটাই দেখে এসেছে সমাজ। মেয়েদের ঘর ও সংসারের দায়িত্বটাই বেশি ভাবা হয়।’ সানিয়ার মতে, “আমরাও বাইরে গিয়ে কাজ করতে চাই, ভ্রমণ করতে চাই, সমাজের বানানো গণ্ডির বাইরে কিছু করতে চাই। কিন্তু তখন সমাজ বলে, ‘কাজ করবে নাকি পরিবার সামলাবে?’ আমি বলি, যদি পুরুষদের এই প্রশ্ন করা না হয়, তাহলে আমাদের কেন হবে?”
সানিয়ার এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি আজকের সমাজে নারীদের প্রতি প্রচলিত মানসিকতার বিরুদ্ধে এক সাহসী বার্তা। এদিকে মাতৃত্ব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সানিয়া জানান, সন্তান জন্মের পর প্রথম কয়েক মাস ছিল সবচেয়ে কঠিন। ‘আমি ২.৫ থেকে ৩ মাস বুকের দুধ খাওয়াই। আমার কাছে সেটাই ছিল সবচেয়ে কঠিন অংশ। আবার প্রেগন্যান্ট হতে পারি, কিন্তু ফিডিং? ওটা আবার পারব কিনা জানি না।’
খেলা ছাড়ার কারণ হিসেবে সানিয়া মির্জা বলেন, ‘আমি সরে এসেছি একটা বড় কারণে, সেটা হলো আমার ছেলের সঙ্গে সময় কাটানো। এখন সে এমন এক বয়সে আছে, যেখানে তার মানসিক স্থিতির জন্য একজন অভিভাবকের উপস্থিতি খুব দরকার। বিশেষ করে স্কুল ও রুটিনে বাধা জীবনের জন্য এটা জরুরি। আমি চাইনি এমন একটা সময় চলে যাক, যেটার জন্য পরে আফসোস করব। আমি অনেক বছর ধরে নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য খেলেছি। মা হওয়াটাও ছিল আমার আরেকটা স্বপ্ন।’