স্পোর্টস ডেস্ক
০৫ মে ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে আইসিসির বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মাসসেরা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি, বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ এবং নিউজিল্যান্ডের পেসার বেন সিয়ার্স।
মুজারাবানির আগুন ঝরানো স্পেল
জিম্বাবুয়ের দীর্ঘদেহী পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি এপ্রিলে বিশেষভাবে নজর কাড়েন বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। তার হুইপ-অ্যাকশনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে কাঁপিয়ে দিয়েছেন টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ।
সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৫০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তসহ গুরুত্বপূর্ণ উইকেটও ছিল তাতে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠেন মুজারাবানি। ৭২ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে নিয়ে কার্যত একাই ধসিয়ে দেন স্বাগতিকদের ব্যাটিং।
তার এই বিধ্বংসী বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ে ম্যাচ জেতে ৩ উইকেটে। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও হন মুজারাবানি। পুরো সিরিজে দুই টেস্টে ২০.৫০ গড়ে ১০ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের শীর্ষ উইকেট শিকারি হন তিনি।
টেস্টে ব্যাট-বলে আলো ছড়ানো মিরাজ
বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজও ছিলেন দারুণ ছন্দে। বিশেষ করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টেই ছিলেন সামনে থেকে নেতৃত্বে।
সিলেট টেস্টে বল হাতে টানা দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে বাংলাদেশের লড়াইটা টিকিয়ে রেখেছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৫/৫২, আর দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫/৫০। যদিও শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ম্যাচটি জিতে নেয়।
তবে চট্টগ্রাম টেস্ট ছিল মিরাজের জন্য স্বপ্নের মতো। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে খেলেন দারুণ এক ইনিংস, ১০৪ রান করেন ১৬২ বলে। এরপর বল হাতেও জ্বলে ওঠেন, জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি, গড়েন বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে একই টেস্টে ৫ উইকেট ও সেঞ্চুরি করার কোর্তি।
বাংলাদেশ ওই টেস্ট জেতে ইনিংস ও ১০৬ রানে, সিরিজ সমতায় ফেরায় দল। পুরো সিরিজে মিরাজ করেন ১১৬ রান ৩৮.৬৬ গড়ে এবং নেন ১৫ উইকেট মাত্র ১১.৮৬ গড়ে যা তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মাস।
সিরিজ জয়ের নায়ক কিউই পেসার বেন সিয়ার্স
নিউজিল্যান্ডের তরুণ পেসার বেন সিয়ার্স এপ্রিল মাসে ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।
হ্যামিলটনে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দারুণ বোলিংয়ে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আলি আগার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ৫/৫৯ বোলিং ফিগার দিয়ে কিউইদের ৮৪ রানের জয় এনে দেন এবং সিরিজ জয় নিশ্চিত করেন।
এরপর মাউন্ট মাঙ্গানুইতে সিরিজের শেষ ম্যাচে আবারও দেখান সেই ধার। ৫ উইকেট নিয়ে মাত্র ৯ ওভারেই গুঁড়িয়ে দেন পাকিস্তান ব্যাটিং। নিউজিল্যান্ড জেতে ৪৩ রানে, সিরিজ জয় করে ৩-০ ব্যবধানে। পুরো সিরিজে সিয়ার্স নেন ১০ উইকেট মাত্র ৯.৩০ গড়ে, ইকোনমি রেট ৫.০৭। তার এই পারফরম্যান্স তাকে এনে দেয় সিরিজ সেরার পুরস্কার।