স্পোর্টস ডেস্ক
০৫ মে ২০২৫, ১১:২১ এএম
নতুন চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকে হারিয়ে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার লড়াইয়ে জোরালো অবস্থান তৈরি করেছে চেলসি। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে নিজেদের মাঠে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে এনজো মারোস্কার দল।
ম্যাচের আগে রীতিমতো চ্যাম্পিয়নদের সম্মান জানিয়ে ‘গার্ড অব অনার’ দিয়েছিল চেলসি খেলোয়াড়রা। তবে ম্যাচ শুরু হলে আর কোনো ছাড় দেয়নি তারা। শুরুতেই গোল করে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
মাত্র তিন মিনিটেই এগিয়ে যায় চেলসি। পেদ্রো নেতোর ক্রস থেকে অসাধারণ টাইমিংয়ে বক্সে ঢুকে গোল করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ। অন্যদিকে, লিভারপুল কোচ আরনে স্লট টটেনহ্যামকে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করা ম্যাচের দল থেকে ছয়টি পরিবর্তন এনেছিলেন। যার ফলে দলের চেনা গতি ও আগ্রাসন প্রথমার্ধে দেখা যায়নি। খেলার গতি পেলেও তা খুব দেরি করে, ততক্ষণে ম্যাচ অনেকটাই হাতছাড়া।
বিরতির পর ৫৬ মিনিটে চেলসি পায় দ্বিতীয় গোল। এবার গোলটি আসে ভাগ্যজোরে। কোল পামারের দৌড়ে লিভারপুল বক্সে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ডাচ ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে সেটি জারেল কোয়ানসাহর গায়ে মারেন, সেখান থেকেই বল ঢুকে যায় নিজেদের জালে।
চেলসির ডিফেন্স একটু ধাক্কা খাওয়ার সুযোগ ছিল লিভারপুলের সামনে। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বদলি নেমে আসা ডারউইন নুনেজ ও তারকা ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ। দুজনেই সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন। যদিও গ্যালারিতে থাকা লিভারপুল সমর্থকরা তখন ব্যস্ত ছিলেন তাদের ক্লাবের ২০তম লিগ শিরোপা উদযাপনে। খেলার শেষদিকে আবারও গোলের সুযোগ পান পামার। কিন্তু পোস্টে লেগে ফিরিয়ে দেয় বল। তবে ৮৫ মিনিটে মাথা ছুঁইয়ে এক গোল শোধ করেন ফন ডাইক, তাতে কিছুটা উত্তেজনা ফিরে আসে ম্যাচে।
তবে শেষ হাসি হেসেছে চেলসিই। একদম শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পায় তারা। কোয়ানসাহর ফাউলের শিকার হন ময়সেস কাইসেডো, পেনাল্টি স্পট থেকে গোল করে ব্যবধান ৩-১ করেন কোল পামার। সেই সঙ্গে নিজের টানা ১৮ ম্যাচ গোলশূন্য থাকার হতাশাও ঘোচান তিনি। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে চেলসি গিয়ে ঠেকেছে ঠিক চতুর্থ স্থানে থাকা নিউক্যাসলের সমান পয়েন্টে। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় আপাতত পঞ্চম স্থানে রয়েছে তারা। আগামী রোববার সেন্ট জেমস পার্কে এই দুই দলের মুখোমুখি লড়াই, যেটি হয়ে উঠতে পারে চ্যাম্পিয়নস লিগ জায়গা নিশ্চিত করার সরাসরি ফাইনাল!