স্পোর্টস ডেস্ক
২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ খেলতে নেমে তাওহিদ হৃদয় প্রথমে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন। এরপর তার এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। এরপর টাইগার এই ব্যাটার এবং মোহামেডানের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা এক বছর পিছিয়ে দিয়েছিল বিসিবি। ফলে ২৬ এপ্রিল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পেরেছিলেন তিনি।
তবে সেই ম্যাচে খেলতে নেমেই আউট হওয়ার পর অসন্তোষ প্রকাশ করে কিছু একটা বলতে শোনা যায়। ম্যাচ শেষে শুনানির জন্য ডাকা হলেও তিনি যাননি। যে কারণে তাঁকে ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ম্যাচ রেফারি। সব মিলিয়ে ৮ ডিমেরিট পয়েন্ট হওয়ায় হৃদয়কে নতুন করে ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, এ কারণে আজ আবাহনীর বিপক্ষে অলিখিত ফাইনালে খেলা হয়নি তার।
আবাহনীর বিপক্ষে এ ম্যাচে হেরেছে মোহামেডান। এদিকে ডিপিএলের রানার্সআপ হওয়ার পর আজ এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে গত কয়েকদিনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন হৃদয়। তিনি জানিয়েছেন, অনেক কথা বলতে চেয়েও বলতে পারছেন না তিনি।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে হৃদয় লিখেন, ‘এবারের প্রিমিয়ার লীগে ২২ গজের বাহিরেও এক প্রকার অলিখিত যুদ্ধ করে গেলো মোহামেডানে স্পোর্টিং ক্লাব। আর কোনো দলকে এতোটা মানসিক যুদ্ধ করতে হয়নি, যতোটা মোহামেডান করেছে।’
তিনি আরও লিখেন, ‘প্রতিটি গল্পের দুটি দিক থাকে। হয়তো একপক্ষের চাপে অপরপক্ষকে আমাদের কখনো জানার সুযোগ হয় না। তাই ঢালাওভাবে সবটা না জেনেই আমরা কিছু করে বসি বা বলে ফেলি। একদম শুরু থেকে যদি সবটাই বলতে পারতাম, তাহলে কাহিনি হতো ভিন্ন। যেটা বলতে পারছি না, কেন পারছি না, তা না হয় পরেই বলব!’
অনেক কিছু মেনে নিয়েছেন জানিয়ে হৃদয় লিখেন, ‘নিজেদের ভেতর অনেক কিছুই হয়। বড়-ছোট সবাই ভুল করে, পরিবারের অপর মানুষটা যেন ছোট বা অপমানিত না হয়, সে জন্য অনেক কিছু নিজের ঘাড়ে নিতে হয়, আবার সহ্য করতে হয়—হোক সেটা অপমান কিংবা ভালোবাসা। এগুলো মিলেই জীবন। আপাতত এটাই বুঝিয়েছি নিজেকে।’
মোহামেডান কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি লিখেন, ‘মোহামেডান কর্তৃপক্ষ প্রতিটি ম্যাচে আমাকে উপস্থিত রাখার জন্য যে চেষ্টা করেছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার সতীর্থ খেলোয়াড়, শ্রদ্ধেয় কোচ ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ভালোবাসা।’