স্পোর্টস ডেস্ক
২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম
সবশেষ ২০০২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। এরপর থেকেই গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে খরা চলছে সেলেসাওদের। সেই সঙ্গে নান্দনিক ফুটবলে নিজেদের চিরচেনা ঐতিহ্যও হারিয়েছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। সবশেষ কাতার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে যার সবশেষ উদাহরণ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-১ গোলের হার।
আগামী বিশ্বকাপের বাকি আছে আর ১৪ মাস। তবে এখনো ব্রাজিলের ফুটবলে ছন্নছাড়া অবস্থা কাটেনি। দরিভাল জুনিয়রকে বরখাস্ত করার পর এখনো প্রধান কোচ নিয়োগ দিতে পারেনি সিবিএফ। খুব দ্রুতই যে তা পারবে এমনও নয়। ফলে নতুন কোচ দল গুছিয়ে নিতেও খুব একটা সময় পাবেন না।
এদিকে ব্রাজিলের বর্তমান দলে খেলা ফুটবলাররা সময়ের অন্যতম সেরা তারকা। তবে জাতীয় দলের হয়ে তারা কেউই জ্বলে ওঠতে পারছেন না। ভিনিসিয়ুস, রদ্রিগো, রাফিনিয়াদের ব্রাজিলের হয়ে জ্বলে না ওঠতে পারার কারণ সম্প্রতি জানিয়েছেন সেলেসাওদের ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক রোমারিও। তার মতে, বর্তমান ফুটবলাররা আগের প্রজন্মের মত ক্ষুধার্ত নন।
ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোমারিও বলেন, ‘আমাদের প্রজন্মের খেলোয়াড়েরা জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত ছিল। যদি তারা বুঝতে পারে যে এই ক্ষুধা কেন জরুরি, তবে তারা সফল হতে পারবে। আমি দেখছি, এই খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলের চেয়ে ক্লাবের জন্য বেশি মন দিয়ে খেলে। আমি জানি না, তারা ঝিমিয়ে পড়ে কি না, তবে নিবেদনটা ভিন্ন। আমাদের সময়ে আমরা ক্লাব আর জাতীয় দল—দুটির জন্যই খেলতাম। এর ফলে এটাও বড় পার্থক্য।’
জাতীয় দলের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলেন জানিয়ে রোমারিও বলেন, ‘জাতীয় দল বাকি সবকিছু থেকে আলাদা। আমি যেসব ম্যাচ খেলেছি, সেগুলো নিয়ে আমি আনন্দিত। বিশেষ করে যেগুলোতে শিরোপা জিতেছি। জাতীয় দলই আমার ক্যারিয়ারকে চিহ্নিত করেছে। এর জন্য আমি জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম।’