images

স্পোর্টস / ফুটবল

ডিম-দুধের পর ম্যাচসেরার পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হল ভেড়ার বাচ্চা

স্পোর্টস ডেস্ক

২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০০ পিএম

নরওয়ের এক ফুটবল ক্লাবের অভিনব এক উদ্যোগ এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়কে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে একটি ভেড়ার বাচ্চা! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন, এই ব্যতিক্রমী ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ পুরস্কার দিয়ে শিরোনামে এসেছে ব্রাইন এফকে নামের ক্লাবটি।

ম্যাচসেরার জন্য ভিন্ন রকম পুরস্কার
সম্প্রতি হাউগেসুন্ডের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়ের পর ব্রিন এফকের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন অ্যাক্সেল ক্রাইগার। ম্যাচের প্রথম গোল করে জয় এনে দেওয়া এই ফুটবলারকেই ম্যাচ শেষে হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি ছোট্ট ভেড়ার বাচ্চা। খেলার মাঠে এমন দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ভক্তরা। মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেই ছবি ও ভিডিও।

শুধু ভেড়ার বাচ্চাই যে ম্যাচসেরার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তাই নয়। এর আগে একটি ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তিন ট্রে ডিম। এছাড়া আরেক ম্যাচে পুরস্কারে ছিল দুধও। 

a70fbc80-0e34-11f0-a4bb-6b40441fc890

‘ফার্মার্স লিগ’-এর গর্বিত পরিচয়
নরওয়ের কৃষিপ্রধান অঞ্চলে অবস্থিত ব্রাইন এফকে নিজেদের "ফার্মার্স লিগ" ক্লাব হিসেবে পরিচয় দিতেই গর্ব বোধ করে। আর সে পরিচয়কে ঘিরেই গড়ে তুলেছে নানা অভিনব আয়োজন। যেমন ভক্তদের জন্য রয়েছে ভিন্নধর্মী ভিআইপি টিকিট, যেখানে মাঠের পাশে ট্রাক্টরের ওপর বসানো সোফা থেকেই খেলা উপভোগ করা যায়। খেলোয়াড়দের পুরস্কার হিসেবেও দেওয়া হয় স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা ডিম ও দুধ!

ভেড়ার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
শুধু ম্যাচের পর ছবি তোলা নয়, ভেড়াটিকে নিয়ে আছে আরও পরিকল্পনা। ক্লাব জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালজুড়ে রাইফিল্কের পাহাড়ি এলাকায় ঘাস খেয়ে শান্তিতে সময় কাটাবে এই ভেড়াটি। এরপর শীত মৌসুমে ব্রিন স্টেডিয়ামে একটি আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে খেলোয়াড় ক্রাইগারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরে স্থানীয় কসাইখানায় প্রক্রিয়াজাত করা হবে এটি।

আঞ্চলিক সংস্কৃতি আর খেলাধুলার মেলবন্ধন
এভাবে স্থানীয় সংস্কৃতি আর ফুটবলকে একসাথে মিশিয়ে ব্রাইন এফকে তৈরি করেছে এক অনন্য পরিচয়। শুধু মাঠের খেলাতেই সীমাবদ্ধ নয়, ক্লাবটির এসব উদ্যোগ তাদের ভক্তদের মধ্যে তৈরি করছে গভীর এক সংযোগ ও গর্ববোধ। তারা যেমন নিজেদের শিকড়কে সম্মান করছে, তেমনি সমর্থকদের উপহার দিচ্ছে একেবারে ভিন্নরকম ম্যাচ-দেখার অভিজ্ঞতা।

এমন উদ্যোগ সত্যিই দেখায়—ফুটবল শুধু খেলা নয়, এটি হতে পারে একটি সংস্কৃতি, একটি সম্প্রদায়ের পরিচয়।