images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

আইপিএলে যে কারণে ব্যাট মাপা নিয়ে কড়াকড়ি

স্পোর্টস ডেস্ক

১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০১ পিএম

আইপিএল ২০২৫-এর মাঝামাঝি এসে হঠাৎ করেই শুরু হয়েছে ব্যাট মাপার কড়াকড়ি। ১৩ এপ্রিল থেকে ম্যাচ অফিসিয়ালরা গেজ দিয়ে ব্যাট মাপছেন। এতে ক্রিকেট মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এত দিন পর কেন এমন ব্যবস্থা?

কেন এই নতুন নিয়ম?
আইপিএল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তবে ইএসপিএনক্রিকইনফো সূত্রে জানা গেছে, ব্যাট-বল ভারসাম্য রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ। বড় ব্যাটের বাড়তি সুবিধা নিয়ে যাতে ব্যাটসম্যানরা অন্যায্য সুবিধা না নিতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা।

মূলত টুর্নামেন্ট শুরুর দিকেই নিয়মটি নিয়ে আলোচনা করেন আইপিএলের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী শীর্ষ কর্তারা। পরে গভার্নিং কাউন্সিল অনুমোদন দিলে ১৩ এপ্রিল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ব্যাট মাপার নতুন পদ্ধতি।

আগেও আইপিএলে ব্যাট মাপা হতো, তবে তা ছিল ম্যাচের আগের দিন, ড্রেসিংরুমে। তাও আবার এলোমেলোভাবে, যে ব্যাটসম্যানের ব্যাত পরীক্ষা করা হচ্ছে তিনি ম্যাচে খেলবেন কি না, তা মাথায় না রেখেই। এছাড়া এক ব্যাট মেপে পাশ করিয়ে অন্য ব্যাট নিয়ে মাঠে নামার সুযোগ ছিল।

এবার মাঠেই হবে ব্যাট টেস্ট

চলতি মৌসুমের শুরুতেই আইপিএল সিদ্ধান্ত নেয়, ম্যাচ চলাকালীনই ব্যাট মাপা হবে। কিছু ম্যাচ অফিসিয়াল ব্যাটের আকার নিয়ে আগে থেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। সেই আপত্তি দূর করতেই এই নতুন পদ্ধতি। সব ব্যাটারদের ব্যাট এক নিয়মে মাপা হবে মাঠেই।

ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড -এর মতোই নিয়ম অনুসরণ করছে আইপিএল। ২০১৮ সাল থেকে ইসিবি ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাটের প্রস্থ ৪.২৫ ইঞ্চি, গভীরতা ২.৬৪ ইঞ্চি এবং ধার ১.৫৬ ইঞ্চির মধ্যে রাখতে বাধ্য করে। আইপিএলেও এখন একই মাপ কার্যকর।

গেজ কীভাবে কাজ করে?

গেজ দেখতে একটি ঘরের মতো কাট-আউটযুক্ত আয়তাকার ফ্রেম। ব্যাটটি এই গেজের ফাঁক দিয়ে পাশ করতে পারলেই তা বৈধ ধরা হয়। ব্যাটের নিচের অংশ গেজে ঢোকাতে হয় এবং অনুমোদিত কাভারিং বা টো গার্ড থাকলেও সেটি নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকতে হবে।

ব্যাট কখন মাপা হয়?

১৩ এপ্রিলের আগেই আইপিএল সব দলকে গেজ সরবরাহ করে এবং নিয়ম সম্পর্কে জানিয়ে দেয়। ম্যাচের দিনে মাঠের দুই আম্পায়ারের কাছে থাকে গেজ, তারা ইনিংসের শুরুতে দুই ওপেনারের ব্যাট মাপেন। পরে প্রতিটি নতুন ব্যাটসম্যানের ব্যাট মাঠে ঢোকার আগে মাপে ফেলা হয়। যদি কোনো ব্যাট মাপের বাইরে হয়, সেটি নিষিদ্ধ হয়। ব্যাট বদলাতে চাইলে নতুন ব্যাটও যাচাই করা হয়। এখন পর্যন্ত কেবল কলকাতা নাইট রাইডার্সের সুনীল নারাইন ও আনরিখ নর্কিয়ার ব্যাট গেজ পরীক্ষায় ফেল করেছে।

শাস্তি কী?

ইসিবি যেখানে বড় শাস্তি দেয় যেমন এসেক্সের এক খেলোয়াড়ের ব্যাট নিয়মবহির্ভূত হওয়ায় তাদের ১২ পয়েন্ট কাটা হয়েছিল, আইপিএল সেখানে এখনো শুধু ব্যাট নিষিদ্ধ করেই ক্ষান্ত। ম্যাচে সেই ব্যাট ব্যবহার করা যাবে না, এই পর্যন্তই।