স্পোর্টস ডেস্ক
১৭ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম
আইসিসির মেগা টুর্নামেন্টগুলোর একটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ২০১৭ সালের পর এবারই প্রথম এ টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়েছে। আর এবারের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। এর মাধ্যমে ২৯ বছর পর দেশের মাটিতে কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে পিসিবি। তবে মেগা এ ইভেন্ট আয়োজন করে লাভ হওয়া তো দূরে থাক উল্টো লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে পিসিবিকে।
ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তান ছিটকে যায় গ্রুপ পর্ব থেকেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়াম সংস্কার করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আর এই তিন ভেন্যু সংস্কার করতে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হয় সংস্থাটিকে।
এদিকে গ্রুপ পর্বে এবার পাকিস্তান তাদের তিন ম্যাচের কেবল একটি খেলতে পেরেছে ঘরের মাটিতে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করাচিতে খেলার পর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি তারা খেলেছে দুবাইয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি রাওয়ালপিন্ডিতে হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা ভেসে যায়। ফলে আয়োজক দেশ নিজেদের ঘরে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে সবার আগে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। আর স্বাগতিকরা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ায় নিজ দেশের দর্শকরাই এ টুর্নামেন্ট থেকে আগ্রহ হারিয়েছে। টিকিটের চাহিদাও তাই কমেছে।
এদিকে ইংরেজ দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ জানিয়েছে, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে পাকিস্তান তিন ভেন্যু সংস্কারের জন্য ১৮ বিলিয়ন পাকিস্তান রুপি খরচ করেছে। এছাড়া আরও ৪০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে অন্যান্য খরচের জন্য। সব মিলিয়ে সংস্থাটি ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে।
এদিকে পাকিস্তান টুর্নামেন্ট থেকে আগেভাগেই বিদায় নেওয়ায় এবং ভারত ফাইনালে খেলা টুর্নামেন্টের ১৫ ম্যাচের ৫টিই হয়েছে দুবাইয়ে। আবার পাকিস্তানে হওয়া ১০ ম্যাচের ৩টি পরিত্যক্ত হয় বৃষ্টির কারণে। এদিকে ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করলেও হোস্টিং ফি, টিকিট বিক্রয় এবং স্পন্সরশিপ থেকে মাত্র ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পায় পাকিস্তান। ফলে পিসিবির ক্ষতি হয়েছে ৮৫ শতাংশ।