images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার শিকার হতে চান না মিরাজ

স্পোর্টস ডেস্ক

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:১২ পিএম

আগামীকাল থেকে শুরু হতে চলেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০২৫। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে। এবারের আসরে টাইগারদের দলে নেই সাকিব আল হাসান। ফলে অলরাউন্ডার হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজের উপরই থাকবে সে শূণ্যতা পূরণ করার দায়ভার।

এদিকে বল হাতে মিরাজের ভূমিকা নির্ধারিত হলেও ব্যাট হাতে তিনি কি করবেন তা নির্ধারিত নয়। তাঁকে বেশিরভাগ সময় দলের প্রয়জনে বিভিন্ন পজিশনে ব্যাত করতে দেখা যায়। কখনো আট, কখনো সাত, আবার কখনো চার- এমনকি দলের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ই তাকে ওপেনার হিসেবেও খেলানো হয়েছে।

তবে এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভেতর দিয়ে আর যেতে চান না টাইগার এই অলরাউন্ডার। সম্প্রতি ক্রিকেট-বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’-কে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সেখানেই জানিয়েছেন এ কথা। তিনি জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট পজিশনে ব্যাট করলেই নিজের সেরাটা দলকে দিতে পারবেন তিনি।

মিরাজ বলেন, ‘আমার মতো এত বেশি পজিশন পরিবর্তন করা হয়েছে এমন ক্রিকেটার বাংলাদেশ দলে আছে বলে মনে করি না। আমার ওপর যত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে, তেমনটা খুব কম খেলোয়াড়ের সঙ্গেই হয়েছে। আপনি কি মনে করেন না যে, আমাকে একটি নির্দিষ্ট পজিশনে সেট করা উচিত? তাহলে আমি ভালো পারফর্ম করতে পারবো এবং দলও উপকৃত হবে।’

কখনো না বলতে পারেন জানিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আমি কখনো ‘না’ বলতে পারি না। এটিই আমার সমস্যা। আমি জানি না কেন এমন হয়। শুধু ক্রিকেট নয়, আমার ব্যক্তিগত জীবনেও একই অবস্থা। আমি ‘না’ বলতে পারি না।’

তবে এভাবে আর চালিয়ে যেতে চান না তিনি। এমনকি টিম ম্যানেজম্যান্টকেও তা অবহিত করেছেন বলেই জানিয়েছেন মিরাজ। তিনি বলেন, ‘এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। আমি ইতোমধ্যেই আমার কোচ, অধিনায়ক এবং (বিসিবি) সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। আমি তাদের আমার মতামত জানিয়েছি। এখন তারা প্রতিক্রিয়া জানাবে অথবা এ বিষয়ে চিন্তা করবে।’

চার নম্বরে ব্যাট করতে চাওয়ার বিষয়ে মিরাজ বলেন, ‘যদি আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে আমি বলবো, হ্যাঁ, চার নম্বর পজিশন আমার জন্য ভালো হবে। কারণ এখানে আমি সময় পাবো। আমি জানি কীভাবে এই পজিশনে খেলতে হয়। মুশফিক ভাই (মুশফিকুর রহিম) আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন চার নম্বরে খেলেছেন। তিনি এই পজিশনে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার, গত সাত-আট বছরে প্রচুর রান করেছেন। আমি তার সঙ্গে আলোচনা করেছি কীভাবে এখানে খেলতে হয়। আমি মনে করি, আমি এই পজিশনের সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পেরেছি।’