images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে যা বললেন মিরাজ-তাইজুলরা

স্পোর্টস ডেস্ক

০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ এএম

বাংলাদেশকে ২০১ রানে হারিয়ে টেস্ট সিরিজ শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অ্যান্টিগা টেস্টে বড় ব্যবধানে হারের পর সিরিজে সমতা ফেরাতে জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে জিততেই হত বাংলাদেশকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৫ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ কিংস্টন টেস্ট জিতে নিল ১০১ রানের ব্যবধানে। ইতিহাসগড়া জয়ে সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ। 

টানা পরাজয়ে ব্যাকফুটে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজের দল এই টেস্ট জয়ে রাঙিয়ে স্বস্তি নিয়ে শেষ করল বছর। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৩-২৫ চক্রে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ছিল এটি। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে  ২০০৯ সালের গ্রেনাডা টেস্টের ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদেরই মাটিতে হারাতে পারল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে নাহিদ রানার ফাইফারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটারের আগ্রাসন। জাকের আলি অনিক অনবদ্য ৯১ রানের ইনিংস খেলে দলকে বেশ ভালোভাবেই রাখেন জয়ের পথে। বাকি কাজটা বল হাতে সারেন তাইজুল ইসলাম। ম্যাচ জয়ী স্পেল করে শিকার করেন ৫ উইকেট। 

দুই ইনিংসে নাহিদ ও তাইজুলের ফাইফারে টানা সাত টেস্ট হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে ১৫ বছর পর এলো বহুল কাঙ্ক্ষিত জয়। ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা তাইজুল বললেন, ‘এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশন। আমার মনে হয় আমাদের খেলোয়াড়রা সত্যিই ভালো খেলেছে। তারা অনেক নিবেদন দেখিয়েছে। তাতেই আমরা সাফল্য পেলাম। আমাদের পেস আক্রমণ ও স্পিন আক্রমণ খুবই ভালো। বিশ্বের যে কোনও দলের বিপক্ষে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি।’

দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতা তাসকিন আহমেদ বললেন, ‘সত্যিই খুশি লাগছে। টেস্ট ক্রিকেটে আবার ফেরা সহজ ছিল না। কাঁধে গুরুতর চোট ছিল। অনেক খাটতে হয়েছে। আশা করি আরও অনেক ভালো কিছু হতে যাচ্ছে। আমরা অনেক পরিশ্রম করছি। প্রক্রিয়া মেনে আমরা ভালো করছি। গত তিন বছরে আমাদের ফাস্ট বোলিং গ্রুপ ধীরে ধীরে উন্নতি করেছে। বিসিবিও ফাস্ট বোলারদের জন্য ভালো উইকেটের চেষ্টা করছে। আশা করি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরও অনেক ভালো পেস বোলার আসবে। খেলার বাইরে আমরা সবাই বন্ধু। আমরা দারুণ সময় কাটাই।’

নাজমুল হোসেন শান্তর চোটে ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্ব পেয়ে বাংলাদেশকে দারুণ এক জয় এনে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই সাফল্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বললেন, ‘আমরা সত্যিই ভালো খেলেছি। দিনকে দিন উন্নতি করেছি। এই মুহূর্তে দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ার পর ছেলেরা ভালো বল করেছে। নাহিদ রানা, তাসকিন ও তাইজুল দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত ছিল। আমাদের জন্য সেরা মুহূর্ত। সবকিছুই প্রক্রিয়ার অংশ। এই পযায়ে আমাদের অনেক ফাস্ট বোলার আছে। নাহিদ, তাসকিন, হাসান ও তানজিম আছে।’