স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
প্রথম দিনে ৫ উইকেটে ২৫০ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অ্যান্টিগায় ঝলমলে দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের শুরুটাও ছিল দারুণ উজ্জ্বল। স্বাগতিকদের জোড়া ধাক্কা দিয়ে দ্বিতীয় দিনের সকাল শুরু করেন হাসান মাহমুদরা। তবে, সময় গড়াতে সেই উচ্ছ্বাস মিলিয়ে যায় হাওয়ায়। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার জশুয়া ডি সিলভার সঙ্গে আলজারি জোসেফকে সাজঘরে তিনি।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন স্টিন গ্রেভস। তার সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে ক্যারিবিয়ানরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২১ রানের মধ্যে আউট হয়েছে টাইগার দুই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪০ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ।
৪৫০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে জোড়া উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। এখনও ৪১০ রানে পিছিয়ে আছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু আভাস দেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান।
তবে দলীয় ২১ রানের মধ্যে জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। জাকির ৩৪ বলে ১৫ ও জয় ৩৩ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর শাহদাত হোসেন দিপুকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন মুমিনুল হক। আর কোনো উইকেট না হারিয়ে দিনের বাকী খেলা শেষ করেন এই দুই ব্যাটার। মুমিনুল ২৩ বলে ৭ ও দিপু ৩১ বলে ১০ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে ৫ উইকেটে ২৫০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে প্রথম সেশনের ২৬ ওভারে ওয়েস্ট আরও যোগ করতে পারে ৮৬ রান, বিপরীতে উইকেট হারায় ২টি। ৭ উইকেটে ৩৩৬ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জাস্টিন গ্রিভস-কেমার রোচের অষ্টম উইকেট জুটি থেকে এখন অবদি এসেছে ৭৫ রান। এই দুই ব্যাটার বাংলাদেশকে চোখ রাঙানি দিয়ে গেলেন মধ্যাহ্নভোজ বিরতিতে।
আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরুর ১৫ মিনিট না যেতেই উইকেট হারিয়ে বিদায় নেন জশুয়া ডা সিলভা। আগের দিন অপরাজিত থাকা ১৪ রানে থেকেই আজ তাকে ফিরে যেতে হয় প্যাভিলিয়নে। উইন্ডিজের উইকেটকিপার ব্যাটারের পর দ্রুত উইকেট হারান আলজারি জোসেফ।
পরপর দুই ওভারে হাসান মাহমুদ দখলে নেন জোড়া শিকার। গালি অঞ্চলে দাঁড়ানো জাকির হাসান দারুণভাবে লাফিয়ে লুফে নেন ৪ রানে থাকা জোসেফের দেওয়া ক্যাচ। ২৬১ রানে সপ্তম উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ এরপর অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় জাস্টিন গ্রিভস আর কেমার রোচের ব্যাটে।
টাইগার বোলারদের হতাশ করে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করেন তারা। রোচকে সঙ্গে নিয়ে ১৪০ রানের জুটি গড়েন গ্রেভস। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ১৮১ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন গ্রেভস। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তবে দলীয় ৪৩৮ রানে ২৫ বলে ১৮ রান করে আউট হন সিলস। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৪৫০ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন গ্রেভস।