images

স্পোর্টস / ফুটবল

মেসিদের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যারা

স্পোর্টস ডেস্ক

২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ পিএম

মেজর লিগ সকার কাপের প্লে-অফে আটলান্টা ইউনাইটেডের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ধুলিস্যাত। তার আগে বিদায় লিগস কাপ ও ইউএস ওপেন কাপ থেকেও বিদায় নিয়েছে লিওনেল মেসির ক্লাব ইন্টার মিয়ামি। ব্যর্থতার বৃত্তে থাকায় দলটির আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্দো মার্টিনোর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে। দল প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় ফ্লোরিডায় তার থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এমনকি তাকে সরিয়ে নতুন কোচ নিয়ে আসার চেষ্টাও নাকি শুরু করে দিয়েছে ডেভিড বেকহ্যামের মালিকানাধীন ক্লাবটি। বেশ কিছুদিন ধরেই ইউরোপের গণমাধ্যমে এমন গুঞ্জন শুনা যায়।

এরই মাঝে ইন্টার মিয়ামির কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করছেন মার্টিনো, এমনটায় জানায় ইএসপিএন ফুটবলের এক প্রতিবেদনে। সূত্র অনুসারে, চুক্তির আরও এক বছর বাকি থাকলেও ব্যক্তিগত কারণে মিয়ামি ছাড়ছেন তিনি। এছড়া জানা যায়, আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ২২ নভেম্বর (শুক্রবার) বিদায় ঘোষণা দিবেন মার্টিনো। এরপরই শুর হয় মিয়ামির কোচ হচ্ছনে কে। যেখানে কোচ হওয়ার দৌড়ে নাম আসে দুই কোচের নামে জিনেদিন জিদানের। যেখানে কোচ হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন জাভি হার্নান্দেজ ও জিনেদিন জিদান। সম্প্রতি তাদেরকে নিয়ে আলোকপাত করেছে ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘গোল ডটকম’।

মিয়ামির পছন্দের কোচদের তালিকায় আছেন স্পেনের সাবেক খেলোয়াড় জাভি হার্নান্দেজ। বার্সেলোনার সাবেক এই কোচের দিকে নজর ফ্লোরিডায়ার ক্লাবটির। মিয়ামিতে বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে মেসি, লুইস সুয়ারেজ, জর্দি আলবা ও সার্জিও বুসকেটসের সঙ্গে খেলেছেন জাভিও। মেসিদের সঙ্গে তার সম্পর্কটা দারুণ। যে কারণে তাকে পছন্দের তালিকায় রেখেছে ক্লাব। 

বার্সেলোনার পাশাপাশি রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি জিনেদিন জিদানের দিকেও চোখ আছে বলে জানিয়েছে গোল ডটকম। মায়ামির সহ-মালিক ডেভিড বেকহ্যামের সঙ্গে একসময় মাঠ মাতিয়েছেন জিদান। সে দিক বিবেচনায় জিদানের সামনে বড় সুযোগ থাকছে মায়ামির কোচের দায়িত্ব নেওয়ার।

এদিকে জানা যায়, মিয়ামিতে আসতে পারেন মেসির সতীর্থ হাভিয়ের মাসচেরানো। মেসির সঙ্গে বার্সেলোনায় ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত খেলেছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন দীর্ঘ ১৫ বছর। এর বাইরে তাদের সম্পর্কও মধুর। এর বাইরে জাতীয় দলের বয়সভিত্তিক ফুটবলারদের কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে রক্ষণভাগের এই খেলোয়াড়ের। মাসচেরানোর নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দল প্যারিস অলিম্পিকের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল।