images

স্পোর্টস / ফুটবল

সৌদিকে বিশ্বকাপ আয়োজক না করার আহ্বান মানবাধিকার সংস্থার

স্পোর্টস ডেস্ক

১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম

২০২২ সালে পশ্চিম এশিয়ার কাতার সফলভাবে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করে। আবার এশিয়ায় ফিরছে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ। ২০৩৪ সালে আরবের দেশটি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। সৌদিতে ৪৮ দেশের বিশ্বকাপ ম্যাচগুলো পাঁচ শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রিয়াদেই রয়েছে আটটি স্টেডিয়াম। তবে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ফিফাকে জানায় ২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজন থেকে বিরত রাখতে। কারণ হিসেবে বলছে আগামী মাসে ভোটের মাধ্যমে দেশটির নাম ঘোষণা দেয়ার আগে দেশটিতে মানবাধিকার বিষয়ে সংস্কারের ঘোষণা দিতে হবে। স্পোর্টস এন্ড রাইটস অ্যালায়েন্সও সংস্থাটির সাথে সুর মিলিয়েছে। 

২০২৬ বিশ্বকাপ রয়েছে কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে। ২০৩০ সালে মরক্কো, পর্তুগাল ও স্পেন আয়োজন করবে বিশ্বের অন্যতম বড় এই আসর। আর সৌদি আরব এককভাবে পুরো বিশ্বকাপ আয়োজন করবে চার বছর পর। ডিসেম্বর মাসে ফিফার ভোটিংয়ের মাধ্যমে দেশটির নাম ঘোষণা করবে সংস্থাটি। 

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও এসআরএ বলছে সৌদি আরবকে আয়োজনের দায়িত্ব দিলে ‘গুরুতর এবং ব্যাপক’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটতে পারে। সংস্থাটির শ্রম অধিকার এবং খেলাধুলা বিষয়ক প্রধান স্টিভ কুকবার্ন বলছেন, ‘সংস্কারের বিশ্বাসযোগ্য নিশ্চয়তা না পেয়ে সৌদি আরবকে ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ উপহার দেয়া হলে তার মূল্য হবে।’

‘সমর্থকেরা বৈষম্যের শিকার হবে…অভিবাসী শ্রমিকরা শোষণের মুখোমুখি হবে এবং অনেকে মারা যাবে। ভয়াবহ পরিস্থিতির অবনতি এড়াতে যথাযথ মানবাধিকার সুরক্ষা না পাওয়া পর্যন্ত ফিফাকে প্রক্রিয়াটি বন্ধ করতে হবে।’

অ্যামনেস্টি এবং এসআরএ বলেছে যে তারা বিডিং দেশগুলির প্রস্তাবিত মানবাধিকার কৌশলগুলির মূল্যায়ন করেছে এবং একটি নতুন প্রতিবেদনের উপসংহারে পৌঁছেছে যে কীভাবে ফিফার প্রয়োজনীয় মানবাধিকার মানদন্ডগুলি পূরণ করবে তা পর্যাপ্তভাবে রূপরেখা দেয়নি৷

তবে ফিফার একজন মুখপাত্র বলছেন, ‘ফিফা বিশ্বকাপের ২০৩০ এবং ২০৩৪ সংস্করণের জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিডিং প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সে কাজ বাস্তবায়ন করছে। এটি অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে ২০২৩ মেয়েদের বিশ্বকাপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডায় ২০২৬ বিশ্বকাপ এবং ব্রাজিলে ২০২৭ মেয়েদের বিশ্বকাপ আয়োজক নির্বাচনের পূর্ববর্তী প্রক্রিয়াগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’ মানবাধিকার সংস্থার এই কথা শেষ পর্যন্ত কী হয় তাই দেখার।