images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

আফগান বোলারদের তোপ সামলে লড়াকু পুঁজি বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক

০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হেরেছে বাংলাদেশ। ৯২ রানে হেরে পিছিয়ে পড়া টাইগাররা আজ ডু অর ডাই ম্যাচ মাঠে নেমেছে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে সিরিজে সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে আগে ব্যাট করতে নেমে ওপরের ব্যাটারদের ভালো শুরুতে বড় লক্ষ্যের আভাস মেলে। কিন্তু মিডেল অর্ডাদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।  

আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে ইনংস শুরু করতে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন তামিম। ফারুকির তৃতীয় ওভারেই মারেন দুটি চার। প্রথম ওয়ানডে জয়ের নায়ক অফস্পিনার গজনফর অপরপ্রান্তে বোলিং করছিলেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ছয় মেরে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের বার্তা দিতে থাকেন তামিম। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। 

এএম গজনফরকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ২২ রানে ফেরেন তিনি। দলীয় ২৮ রানে ওপেনার তানজিদ তামিমের উইকেট পড়লেও শান্ত-সৌম্যর ব্যাটে ধাক্কা সামলিয়ে দারুণ ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। শুরুতে দেখে শুনে ব্যাট করতে থাকা সৌম্য ধীরে সুস্থে হাত খুলছেন। শান্তও নামার পর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ব্যাট করছেন। শুরুতে উইকেট হারালেও শান্ত ও সৌম্য দলকে পথ হারাতে দেননি। 

আফগান বোলারদের দেখেশুনে খেলে ব্যাটিং উইকেটে নিয়মিত বিরতিতে বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন তারা। দুজনের ব্যাটে ভর করে দলীয় শতকের কাছাকাছি চলে আসে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই সময়ে বিপত্তিটা বাধান রশিদ খান। যখন ম্যাচ প্রায় হাতের মুঠোয়, এমন সময় রশিদ খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সৌম্য। তাতে ভাঙে ৭১ রানের জুটি। প্যাভিলিয়নের যাওয়ার আগে ৪৯ বকে করেন ৩৫ রান।

সৌম্য ফিরলেও মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে আপন গতিতে খেলতে থাকেন শান্ত। সেই ধারাবাহিকতায় নিজের অর্ধশতকে পৌঁছান তিনি। দুজনের জুটি ভাঙেন রশিদ খান। ব্যক্তিগত ২২ রানে বোল্ড হন মেহেদী মিরাজ। এরপর তাওহীদ হৃদয় পাঁচে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। নামের পাশে ১১ রান যোগ করতেই তিনি আউট হন। 

একপ্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরির পথ দেখছিলেন ছিলেন শান্ত। তবে তার ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে ৭৬ রানে। একই ওভারে ৩ রানে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১০ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে নাসুম আহমেদ ও অভিষিক্ত জাকের আলি মিলে হাল ধরেন। ৪৬ রানের জুটি গড়েন তারা। 

দলীয় ২৩০ রানে ২৪ বলে ২৫ রান করে আউট হন নাসুম। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ২৭ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। আফগানিস্তানের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন নাঙ্গেলিয়া খারোতে।