images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

ক্রিকেটে ‘ট্যুর ফি’ ফেরাচ্ছে ইংল্যান্ড 

স্পোর্টস ডেস্ক

২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম

আধুনিক ক্রিকেটে যুগান্তকারী এক পদক্ষেপ নিতে চলেছে ইংল্যান্ড। প্রথম দল হিসেবে ট্যুর ফি দেয়ার প্রচলন করতে চলেছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। আর প্রথম দল হিসেবে এই সুবিধা পেতে চলেছে জিম্বাবুয়ে।

আগামী গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডের সফর করবে জিম্বাবুয়ে। ইংলিশদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট খেলতে ২০২৫ সালে দেশটিতে সফর করবে জিম্বাবুয়ে। এই সফর দিয়েই আধুনিক ক্রিকেটের যুগে প্রথম স্বাগতিক দল হিসেবে সফরকারী দলকে ট্যুর ফি দিবে ইসিবি।

আইসিসির পূর্ণ সদস্য বোর্ডগুলোর আয়ে রয়েছে অসমতা, অসমতা কমিয়ে আনার পদক্ষেপ হিসেবেই আবার ট্যুর ফি প্রথার প্রচলন করতে চলেছে ইংল্যান্ড। পুনরায় এই প্রথা ফিরিয়ে আনোট গত বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলেই জানিয়েছেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড।

ইসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটি দায়িত্ব…। আইসিসির রাজস্ব বন্টন পদ্ধতির কথা বলুন কিংবা দ্বিপাক্ষিক সিরিজের রাজস্ব ভাগাভাগি করা, সত্যি বলতে এসব যেভাবে হয়ে আসছে, তা পুরোনো হয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, আগামী বছর জিম্বাবুয়ে আসবে আমাদের এখানে সফরে। এমনিতে সফরকারী দলের আবাসন ও অন্যান্য কিছুর দায়িত্ব আয়োজক বোর্ডের থাকে। কিন্তু সফরে যাওয়ার জন্য কোনো ফি দেওয়া হয় না। আগামী বছর যখন আমরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলব, সফরে আসার জন্য ওদেরকে ফি দেব।’

সাধারণত দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ক্ষেত্রে সফরে যাওয়ার সব খরচ সফরকারী দেশটির ক্রিকেট বোর্ডই বহন করে। এরপর তাদের সব খরচ বহন করে স্বাগতিক দেশ। কিন্তু সিরিজটি থেকে প্রাপ্ত সব লভ্যাংশ পেয়ে থাকে আয়োজক বোর্ডই। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভ।

এ বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া সফরে দুইটি টেস্ট খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সফরে দল পাঠাতে ২০ লাখ ডলার খরচ করেছে ক্যারিবীয়দের বোর্ড। কিন্তু কোনো লভ্যাংশই পায়নি তারা। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে আইসিসির রাজস্ব ভাগাভাগির মডেলের সমালোচনা করেছিলেন জণি গ্রেভ। তিনি বলেন, ‘গত চার মাসে অস্ট্রেলিয়া সফরে দল পাঠাতে ২০ লাখ ডলারের বেশি খরচ করেছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এসব সিরিজ থেকে সবটুকু আর্থিক লাভ হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। আমরা একটি ডলারও পাইনি। এটা কি ন্যায্য, যুক্তিসঙ্গত ও টেকসই কিছু?’

এ ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসেবেই ট্যুরিং ফি ফিরিয়ে আনা হচ্ছে জানিয়ে ইসিবির প্রধান নির্বাহী গুল্ড বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই সফরের ৬ মাস, ৯ মাস আগে থেকেই তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আসছি আমি, কোন ধরনের সহায়তা আমরা করতে পারি। ব্যাপারটা অনেকভাবেই করা যায়, শুধু টেস্ট ম্যাচের চক্র দিয়েই নয়। যেমন, গত ক্রিসমাসের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে আমরা বাড়তি দুটি টি-টোয়েন্টি খেলেছি (আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচীর বাইরে), যাতে তাদেরকে সহায়তা করতে পারি। সবসময় আর্থিক সহায়তাই জরুরি নয়। অন্য অনেক পথ-ও আছে।’