images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

প্রোটিয়াদের কাছে হারের পর শ্রীলঙ্কার যত অভিযোগ

স্পোর্টস ডেস্ক

০৪ জুন ২০২৪, ০১:২৮ পিএম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। লঙ্কান ক্রিকেটের সেই সোনালি সময় পেরিয়ে গেছে, ফিকে হয়ে এসেছে আধিপত্য। তবে এখনো দলটিতে প্রতিভাবান এবং তারকা ক্রিকেটার আছেন যারা ম্যাচ জেতাতে পারেন যে কোনো মুহূর্তে। শক্তিশালি দল নিয়েই গতকাল এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেছিল দলটি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটিতে ৭৭ রানেই অল আউট হয়ে যায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দল।

লো স্কোরিং ম্যাচ হলেও বেশ উত্তেজনা ছিল ম্যাচটিতে। ছোট লক্ষ্য তাড়া করে জিততে লড়াই করতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। এদিকে প্রথম ম্যাচে হারের পর বেশ কিছু বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে লঙ্কানরা। এর মধ্যে যাতায়াত ব্যবস্থা, সূচি এবং অব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ করেছে দলটি।

এবারের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে ২০ টি দল। প্রথম পর্বে এই ২০ দলের মধ্যে কেবল ২টি দলই চারটি ম্যাচ খেলবে চারটি আলাদা ভেন্যুতে। এই দুই দলের একটি শ্রীলঙ্কা, অপরটি নেদারল্যান্ডস। এই দুলই ডি গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ।

চার ম্যাচ চার ভেন্যুতে খেলতে হবে বিধায় লঙ্কানদের ভ্রমণ করতে হবে বেশি। একই সঙ্গে যাত্রাপথের বিভিন্ন ভোগান্তিও আছে। এসব নিয়েই অভিযোগ করেছেন লঙ্কানরা। মহেশ তিকশানা বলেন, ‘আমাদের জন্য এটা অন্যায্য হয়ে গেছে। প্রতিটি ম্যাচের পরই আমাদের দৌড়াতে হবে। কারণ, চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলা পড়েছে আমাদের। এটা অন্যায়। ফ্লোরিডার মায়ামি থেকে ফ্লাইট ধরতে বিমানবন্দরে আট ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করতে হলো। রাত ৮টার ফ্লাইট পেলাম ভোর ৫টায়। এটা অন্যায্য, তবে খেলায় এর প্রভাব পড়েনি।’

এদিকে স্টেডিয়ামের কাছেই হোটেল না পাওয়া নিয়েও অভিযোগ করেছেন তিকশানা। তিনি বলেন, ‘মাঠ থেকে মাত্র ১৪ মিনিটের দূরত্বে যে দুটি দল হোটেল পেয়েছে, তাদের নাম নাই–বা বললাম। আমাদের দূরত্ব ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের। ওই দুটি দল একই ভেন্যুতে খেলবে, তাই কন্ডিশনও ওদের জানা থাকবে। একই ভেন্যুতে তারা অনুশীলন ম্যাচও খেলেছে। আর কেউ এমন সুবিধা পায়নি। আমরা ফ্লোরিডায় অনুশীলন ম্যাচ খেলেছি, আবার সেখানে খেলব তৃতীয় ম্যাচটি। পরেরবার সবাই এ নিয়ে চিন্তা করবে বলে আশা করছি। এ বছর তো আর কিছু বদলানোর সুযোগ নেই।’

এদিকে এসব অব্যবস্থাপনাকে হারের অজুহাত হিসেবে না দেখাতে চাইলেও অধিনায়ক হাসারাঙ্গা বলেন, ‘আমরা এমনটা বলতে পারি না। কয়েকটা দিন খুব কঠিন ছিল। চার ভেন্যুতে চার ম্যাচ। এটা কঠিনই। এখানকার কন্ডিশন আমাদের জানা ছিল না। নিউইয়র্কে তো এটাই আমাদের প্রথম ম্যাচ ছিল। পরের ম্যাচ ডালাসে, সেখানকার কিছুও জানা নেই আমাদের। পরের ম্যাচটা ফ্লোরিডায়, সেখানে আমরা দুটি ম্যাচ খেলেছি। আমাদের জন্য একমাত্র ভালো খবর এটিই।’