স্পোর্টস ডেস্ক
০২ জুন ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
সালটা ১৯৯৭, আইসিসি ট্রফিতে যখন প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন ফ্রাঙ্ক এনসুবুগা তার বয়স তখন কেবল ১৬। এরপর একে একে কেটে গেছে প্রায় তিনটি দশক। এই সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটের পাদ-প্রদীপের আলোয় আসা হয়নি উগান্ডার ক্রিকেটের, ফলে ফ্রাঙ্কও পাননি তেমন কোনো পরিচিতি।
তবে আন্তর্জাতিক পরিচিতি না মিললেও ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসার টানেই খেলাটা চালিয়ে গেছেন ফ্রাঙ্ক। তাই এতদিনে এসে তার পুরস্কারটাও পাচ্ছেন বুড়ো এই ক্রিকেটার। ১৬ বছরের সেই যুবক এখন ৪৩ বয়সের বুড়ো। আর বুড়ো বয়সে এসেই বিশ্বকাপে পা রাখছেন ফ্রাঙ্ক।
ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগে উগান্ডা চতুর্থ বিভাগে অবনমিত হয়ে যাওয়ার পর উগান্ডার জন্য বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখাটা ছিল অবাস্তব কল্পনার মতোই। তবে কোচ লরেন্স মাহাতলানে ও তার উত্তরসূরি ক্রেইগ উইলিয়ামসের হাত ধরে এই অসম্ভবও সম্ভব হয়েছে।
আফ্রিকান বাছাইপর্বের বাধা উতরে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে উগান্ডা। আর এই যোগ্যতা অর্জনের পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ফ্রাঙ্ক। ২৭ বছরের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে দারুণ আনন্দিত তিনি।
ফ্রাঙ্ক বলেন, বিশ্বকাপে নাম লেখানোটা ছিল বিস্ময়ের মতো। জিম্বাবুয়েকে হারানোর পর আবারও খেলতে তর সইছিল না আমাদের। ছেলেরা বেশ রোমাঞ্চিত এবং কী অভিজ্ঞতা হবে তার জন্য মুখিয়ে আছে। গত ২৭ বছর ধরে এটার জন্য চেষ্টা করেছি আমি। স্বপ্ন সত্যিই হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম এবং অবশেষে তা হয়েছে।
এদিকে ফ্রাঙ্ক যখন সবচেয়ে বেশি বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপ মাতানোর আগ্রহে অধীর হয়ে তখন সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে এবারের টুর্নামেন্টে খেলবেন নেপালের গুলশান ঝা। তরুণ এই অলরাউন্ডারের বয়স মাত্র ১৮ বছর।