স্পোর্টস ডেস্ক
৩০ মে ২০২৪, ০৯:০১ এএম
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুটা হয়েছিল ২০০৭ সালে। উদ্বোধনী আসরেই শিরোপা জিতে নিয়েছিল ভারত। এরপর থেকে এখনো পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সবথেকে আকর্ষণীয় এই টুর্নামেন্টের ৮টি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ আসরে শিরোপা ঘরে তুলেছে মোট ৬টি দল। এর মধ্যে দুইবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দুইটি দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুইবার করে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের একটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অপরটি ইংল্যান্ড। ইংলিশরা সর্বপ্রথম এ টুর্নামেন্টের শিরোপা ঘরে তুলে ২০১০ সালে। আর সবশেষ ২০২২ বিশ্বকাপেরও চ্যাম্পিয়ন তারাই। অন্যদিকে ক্যারিবীয়রা এই বিশ্বকাপ জিতেছে যথাক্রমে ২০১২ ও ২০১৬ সালে।
এখনো পর্যন্ত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৮টি আসরে ৬টি দল চ্যাম্পিয়ন হলেও স্বাগতিক দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি কোনো দলই। এবার তাই এই রেকর্ড গড়ার হাতছানি ক্যারিবীয়দের সামনে। সহ-আয়োজক দেশ হিসেবে এ টুর্নামেন্ট শুরু করার আগে এ লক্ষ্যের কথাই জানিয়েছেন ক্যারিবীয়দের ২০১৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের বোলিং কোচ ও সাবেক পেসার কার্টলি অ্যামব্রোস।
একই সঙ্গে এবার বিশ্বকাপ জিতলে একমাত্র দল হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ডও গড়বে স্বাগতিকরা। অ্যামব্রস বলেন, ‘এটা সহজ নয়, তবে দুটি বিশ্বকাপ জিতেছে—এমন দুটি দলের মধ্যে আমরা একটি। এবার সংখ্যাটা তিন করার চেষ্টা থাকবে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো দলই নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। এসব কিছুই ছেলেদের চ্যাম্পিয়ন হতে অনুপ্রাণিত করবে।’
ঘরের মাঠে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলটাও দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ হয়েছে বলেই মনে করেন সাবেক এই কিংবদন্তি পেসার। এমন দল নিয়ে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম্যান্স করতে পারলেই সাফল্য মিলবে বলেও জানান তিনি। অ্যামব্রোস বলেন, ‘এবারের দলটি দুর্দান্ত হয়েছে। একবার ছেলেরা ধারাবাহিক এবং স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে পারলে আমি বিশ্বাস করি আমরা শিরোপা জিততে পারব।’