০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:০৭ পিএম
বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর মাঠে গড়াবে আগামীকাল। ইতোমধ্যে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো অবস্থান করছে ভারতে। মূল আসর শুরুর আগে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি দলই খেলছে অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ। ৫ই অক্টোবর থেকে ভারতের মাটিতে শুরু হওয়া দশ দলের ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে টানা ৪৫ দিন বুঁদ হয়ে থাকবে ক্রিকেটে প্রেমীরা।
এরইমধ্যে সবাই সবার প্রিয় দলকে সাপোর্ট দিতে আয়োজনের কমতি নেই, কোন দলের শক্তিমত্তা কেমন, কোথায় দুর্বলতা সে সব নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এমনই এক দল শ্রীলঙ্কা।
সাম্প্রতিক ফর্ম: এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে শিরোপা জিততে না পারলেও বিশ্বকাপে সমীহ করা হচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কটি দাপুটে জয় পেয়েছে লঙ্কানরা। এশিয়ান কন্ডিশনে খেলা বলেই শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী শ্রীলঙ্কা।
অতীত ইতিহাস: বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার যাত্রা শুরু ১৯৭৫ সালে। ক্রিকেট মহাযজ্ঞের প্রথম পাঁচ আসরে হতাশা নিয়েই দেশের বিমান ধরে তারা। গ্রুপ পর্বের গন্ডিই পেরোতে পারেনি তারা। এখন পর্যন্ত ১২টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা শ্রীলঙ্কা ১৯৯৬ সালে শিরোপা জয় ছাড়াও দুইবার রানার্স আপ ও একবার সেমিফাইনাল খেলেছে। সব মিলিয়ে ৭টি বিশ্বকাপে ছিটকে গেছে গ্রুপপর্ব থেকে। এবার দাসুন শানাকার নেতৃত্বে বিশ্বকাপে খেলতে নামবে তারা। ওয়ানডে বিশ্বকাপে মোট ৮৩টি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। জয় পেয়েছে ৩৮ ম্যাচে। ৩৯ ম্যাচ হারতে হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে আয়োজিত এবারের বিশ্বকাপে চমক দেখাতে পারে দাসুন শানাকা বাহিনীই।
২০২৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার শক্তি : ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ বলেই শ্রীলঙ্কা বেশ এগিয়ে থাকবে। কন্ডিশন বিবেচনার পাশাপাশি অতীতে এশিয়ার মাটিতে লঙ্কানদের ভালো করার রেকর্ড আছে। শ্রীলঙ্কার অন্যতম শক্তির জায়গা তাদের ব্যাটিং ইউনিট। কুশল পেরেরা, মেন্ডিসদের মতো ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য রাখেন। পাশাপাশি দুনিথ ভেল্লালাগের মতো স্পিনাররা নিজেদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে।
দুর্বলতা: শ্রীলঙ্কার অন্যতম দুর্বলতা বোলারদের ব্যর্থতা। সাম্প্রতিক সিরিজগুলোতে ব্যাটাররা ভালো করলেও বোলাররা সেই অর্থে জ্বলে উঠতে পারেনি। যা বড় দুশ্চিন্তার কারণ। তাই বিশ্বকাপে ভাল করতে হলে বোলারদের দায়িত্ব নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যদিও বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ রাজিথারা।
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার দল: দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, পাথুম নিসাঙ্কা, দিমুথ করুনারত্নে, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দুশান হেমান্থা, দুনিথ ভেল্লালাগে, মাহিশ থিকশানা, কাসুন রাজিথা, মাথিশা পাথিরানা, লাহিরু কুমারা, দিলশান মাদুশাঙ্কা। দলের সঙ্গে রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে আছেন চামিকা করুনারত্নে।