০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৩৮ এএম
সব অপেক্ষার পালা ফুরলো এবার। আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট-২০২৩। ৪৫ দিনব্যাপি এই টুর্নামেন্টে দশটি দল লড়বে একদিনের ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য। এবার আসরের ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ভারতের মোট ১০টি ভেন্যুতে। এসব ভেন্যুর মধ্যে অন্যতম চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়াম। আজ আমরা জানবো এবারের টুর্নামেন্টের এই মাঠটি সম্পর্কে।
চেন্নাইয়ের মুত্তিয়া আন্নামালাই চিদাম্বরম স্টেডিয়াম-চিপক স্টেডিয়াম বা মাদ্রাস ক্রিকেট গ্রাউন্ড ক্লাব স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত। এমএ চিদাম্বরম ছিলেন বিসিসিআই এবং তামিল নাড়ু ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সাবেক সভাপতি। ১৯১৬ সালে উদ্বোধন করা ভারতের অন্যতম প্রাচীন এই মাঠটি। ২০০৮ সাল থেকে আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংসের ঘরের মাঠ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে এটি।
এদিকে চিপকের এই স্টেডিয়ামের সবথেকে আকর্ষণীয় বিষয় হলো এর দর্শকরা। যে কোনও ম্যাচেই এখানে থাকে দর্শকদের স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিতি। এছাড়া এখানকার ক্রিকেটপ্রেমীরা খেলা সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা রাখেন-এমন কথাই প্রচলিত আছে।
এবারের আসরে ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। চেন্নাইয়ের এই স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই এবারের আসর শুরু করবে ভারত। এছাড়া বাংলাদেশেরও একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠেই। ১৩ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। এছাড়া কিউইদের বিপক্ষে আফগানিস্তান, পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান এবং দক্ষিণ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে।
চিপকের এই মাঠের পিচ স্পিনারদের জন্য দারুণ সহায়ক। এমনকি এই উইকেটে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক দশজনের নয়জনই হলেন স্পিন বোলার। একমাত্র পেসার যিনি এই তালিকায় আছেন তিনি কপিল দেব। এবারের বিশ্বকাপেও এই মাঠের খেলায় স্পিনারদের আধিপত্য দেখা যাবে এমন ধারণাই করা হচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত এই মাঠে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়েছে ৩৪টি যার মধ্যে আগে ব্যাট করা দল জিতেছে ১৭ ম্যাচে। আর পরে ব্যাট দলগুলো করে জয় পেয়েছে ১৬ বার। প্রথম ইনিংসে এখানে গড়ে রান হয় ২২৪ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে গড়ে রান হয় ২০৫। চিপকের সি স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ রান হয়েছিল ৩৩৭ এবং সর্বনিম্ন রান ৬৯। চেন্নাইয়ের এই স্টেডিয়ামে মাত্র একটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের। সেটিও ১৯৯৮ সালে। কেনিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচটি জিতেছিল বাংলাদেশ।