images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

বিশ্বকাপে না যাওয়ার পেছনে ইনজুরি কারণ নয়: তামিম

স্পোর্টস ডেস্ক

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:২৬ পিএম

বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র কদিন। আইসিসির মেগা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে সবার শেষে গতকাল রাতে দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। এর আগে হয়েছে বেশ নাটকীয়তা। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে তামিম ইকবালকে ছাড়াই দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ওয়ানডে সুপার লিগে শীর্ষ তিনে বাংলাদেশ দল যেই তামিমের নেতৃত্বে স্থান করে নিয়েছিল সেই তামিমকে ছাড়াই বিশ্বকাপে যাচ্ছে টাইগাররা। যা নিয়ে তোলপাড় ক্রিকেট পাড়ায়। 

এসব নিয়ে তামিম ইকবাল মুখ না খুললেও আজ সকালে এক ফেসবুক পোস্টে সবকিছু নিয়ে কথা বলার ইঙ্গিত দেন দেশসেরা এই ওপেনার। অবশেষে বিকেল ৫টার দিকে ১২মিনিট ১০ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে নিজের মত প্রকাশ করেন তামিম।  

যেখানে তামিম দাবি করেছেন তার সঙ্গে সবশেষ ৩-৪ মাসে যা হয়েছে সব পরিকল্পিত। ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিজিওর রিপোর্টে কী ছিল। যদি কেউ আমাকে চ্যালেঞ্জ করতে চান যেকোনো পাব্লিক ফোরামে আপনাকে স্বাগত। ওখানে কন্ডিশনটা বলা হয়েছিল, প্রথম ম্যাচের পর সে এরকম ব্যথা হয়েছে, দ্বিতীয়টির পর এরকম। আজকের দিনের পর ও ২৬ তারিখের জন্য তৈরি। কিন্তু মেডিকেল টিম মনে করে যদি আমি বিশ্রাম নেই এবং দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলি আমি সুস্থ থাকবো। আমার হাতে যথেষ্ট সময় থাকবে। এই সময়ে আমার দুই সপ্তাহের রিহ্যাব হবে, সবমিলিয়ে দশ সপ্তাহের রিহ্যাব হবে। আমি প্রথম ম্যাচ খেলার জন্য ভালো অবস্থায় থাকবো। এটা ছিল ফিজিওর রিপোর্ট। কোনো জায়গায় কোথাও বলা হয়নি পাঁচ ম্যাচ, দুই ম্যাচ বা ইনজুরি খেলতে পারবো না, এগুলো বলা হয়নি। আমার শরীরে ব্যথা ছিল এটা আমি অস্বীকার করবো না। ’ 

তামিম তার বিশ্বকাপে না যাওয়ার পেছনে ইনজুরি কারণ নয় জানিয়ে স্পষ্টভাবে বলেন, ‘তারপরে যে ঘটনাটা ঘটে। মিডিয়াতে যেটা বেশি আসতেছে, ইনজুরি বা পাঁচ ম্যাচ এই-সেই। আমার কাছে মনে হয় না আমি বিশ্বকাপে না যাওয়ার পেছনে এটার কোনো বড় অবদান ছিল।’ 

তামিম আরো বলেন, 'এক-দুদিন পরে বোর্ডের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে একজন ফোন করলেন। তিনি বেশ সম্পৃক্ত আমাদের ক্রিকেটের সঙ্গে। উনি আমাকে ফোন করে বললেন, "তুমি তো বিশ্বকাপে যাবে। তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাতে হবে। তুমি এক কাজ কর তুমি প্রথম ম্যাচ খেলো না। আফগানিস্তানের সঙ্গে।" বললাম ভাই এটা তো এখনো ১২-১৩ দিনের পরের কথা। ১২-১৩ দিনের পর তো আমি ভালো অবস্থায় থাকব। তারপর বলল, "তুমি যদি খেলো আমরা এরকম একটা পরিকল্পনা করছি, আলোচনা করছি তোমাকে আমরা নিচে ব্যাটিং করাবো।"

'স্বাভাবিকভাবে বুঝতে হবে আমি কোন মানসিকতা থেকে এসেছি। আমাকে যদি হুট করে এসব ধরণের কথা বলা হয়। আমার পক্ষে নেওয়া আসলে সম্ভব না। আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে ব্যাট করেছি। আমি জীবনে কোনদিন তিন-চারে ব্যাটিং করিনি। আমি যদি তিন চারে ব্যাট করতাম তাহলে মানিয়ে নেওয়ার মতো ছিল। আমার এরকম কোন অভিজ্ঞতা নেই। আমি এটা ভালোভাবে নেইনি। আমি উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি এটা পছন্দ করিনি। আমি মনে করেছি আমাকে জোর করে করে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমি তখন, বলেছি, "দেখেন, আপনারা একটা কাজ করেন, আপনাদের এরকম চিন্তা ধারা থাকলে আমাকে পাঠিয়েন না। আমি নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না।"