ধর্ম ডেস্ক
১৪ জুন ২০২৩, ০৬:২৮ পিএম
মুসলিম মিল্লাতের বড় দুই আনন্দের দিনের মধ্যে ঈদুল আজহা একটি। ঈদুল আজহার প্রধান আকর্ষণ ও বড় আমল হলো কোরবানি করা। এটি ইসলামের একটি শিয়ার বা মহান নিদর্শন। আল্লাহ তাআলা কোরবানির নির্দেশ দিয়ে বলেন— ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন।’ (সুরা কাউসার: ২)
আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমার কাছে কোরবানির পশুর গোশত ও রক্ত কিছুই পৌঁছে না, তবে আমার কাছে পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া।’ (সুরা হজ: ৩৭)
গরু, মহিষ ও উট—এই তিন প্রকার পশুতে কয়েকজন মিলে বা শরিকে কোরবানি করা যায়। সর্বোচ্চ সাত ব্যক্তি পর্যন্ত শরিক হওয়া যায়। শরিকদের সংখ্যা জোড় হোক বা বেজোড় তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে কোরবানির জন্য শর্ত হলো কারো অংশ যেন এক-সপ্তমাংশের চেয়ে কম না হয়।
শরিকদের একজনও যদি গোশত খাওয়ার নিয়ত করে তবে কারো নিয়ত দুরস্ত হবে না এবং কারো কোরবানি সহিহ হবে না। অনুরূপভাবে যদি কোনো শরিকের অংশ সপ্তমাংশের কম হয় তবে সবার কোরবানিই নষ্ট হয়ে যাবে। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ৫/৩০৪)
পশু ক্রয়ের পরে শরিক করা যাবে?
এটি নিয়তের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ যদি কেউ একা কোরবানি করার জন্য একটা গরু বা মহিষ কেনে এবং মনে মনে ইচ্ছা রাখে পরে আরো লোককে অংশীদার করবে, তাহলে তা জায়েজ আছে। কিন্তু কেউ যদি পুরা গরু একাই কোরবানি করার নিয়তে ক্রয় করে, তাহলে পরবর্তীতে তাতে অন্যদের শরিক করা মাকরুহ। এরপরও অন্যদের শরিক করে নিলে কোরবানি আদায় হয়ে যাবে। তবে এ ব্যাপারে ফকিহদের বক্তব্য হলো— এক্ষেত্রে পশু ক্রেতার জন্য উচিত হবে, শরিকদের থেকে প্রাপ্ত টাকা সদকা করে দেওয়া।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- যদি পশু ক্রয়কারী এমন হয়, যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয় এবং তিনি পশু কেনার সময়ও অন্যদের শরিক করার নিয়ত করেননি তবে নতুন করে কাউকে অংশীদার করা যাবে না। তাকে এককভাবেই কোরবানি করতে হবে। (কিতাবুল আছল: ৫/৪০৮; আলমাবসুত, সারাখসি: ১২/১৫; ফতোয়ায়ে খানিয়া: ৩/৩৫১; আলমুহিতুল বুরহানি: ৮/৪৭৭; রদ্দুল মুহতার: ৬/৩১৭, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/৩০৪)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শরিয়তের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথভাবে কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন। শরিকানা কুরবানী, একা কোরবানি করার জন্য পশু ক্রয়, কোরবানিতে নতুন শরিক করা, নতুনভাবে শরিক করা মাকরুহ, শরিকে কোরবানি