ধর্ম ডেস্ক
১১ জুন ২০২৩, ১১:৫৩ এএম
কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কোরবানির নেসাব পরিমাণ সম্পদ জাকাতের নেসাবের অনুরূপ। তবে, কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য ওই সম্পদ এক বছর অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়। ১০ জিলহজ ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই তাকে কোরবানি দিতে হবে। (আদ দুররুল মুখতার, পৃষ্ঠা-২১৯, খণ্ড-৫)
সামর্থ্যবান স্বাধীন ব্যক্তির ওপর শুধুমাত্র একটি কোরবানি ওয়াজিব হয়। অনেক সম্পদের মালিক হলেও একটি কোরবানিতেই ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। অবশ্য একাধিক পশু কোরবানি করলে বেশি সওয়াব হবে, কিন্তু সেটি জরুরি নয়।
কোরবানি ওয়াজিব নয়—এমন দরিদ্র ব্যক্তি কোরবানি করলে তার কোরবানি শুদ্ধ হবে এবং এতে অনেক সওয়াব লাভ হবে। এমন দরিদ্র লোক কোরবানির উদ্দেশ্যে পশু ক্রয় করলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যায়। (কিফায়াতুল মুফতি: ৮/১৭৮)
কোরবানি ওয়াজিব নয়—এমন দরিদ্র ব্যক্তি কোরবানির উদ্দেশ্যে পশু ক্রয় করার পর তা হারিয়ে ফেললে, অতঃপর আরও একটি ক্রয় করার পরে হারানো পশুটিও পাওয়া গেলে তার ওপর দুটি পশুই কোরবানি করা ওয়াজিব হয়ে যায়। আর এক্ষেত্রে ধনী হলে একটি কোরবানি করলেই হবে। তবে দুটি করা উত্তম। (সুনানে বায়হাকি: ৫/২৪৪, ইলাউস সুনান: ১৭/২৮০, বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৯৯, কাজিখান: ৩/৩৪৭)
ধনী-গরিব সবাইকেই আরেকটি ক্ষেত্রে দুই পশু জবাই করতে হয়, সেটি হচ্ছে—গর্ভবতী পশু জবাইয়ের পর যদি বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায় তাহলে সেটাও জবাই করতে হবে। তবে প্রসবের সময় আসন্ন অবস্থায় কোনো পশু কোরবানি করা মাকরুহ। (কাজিখান: ৩/৩৫০)
আর কোরবানির পশু বাচ্চা দিলে ওই বাচ্চা জবাই না করে জীবিত সদকা করে দেওয়া উত্তম। যদি সদকা না করা হয়, তাহলে কোরবানির পশুর সঙ্গে বাচ্চাকেও জবাই করবে এবং গোশত সদকা করে দিতে হবে। (কাজিখান: ৩/৩৪৯, আলমগিরি: ৫/৩০১, রদ্দুল মুখতার: ৬/৩২৩)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সহিহ সুন্নাহ অনুযায়ী কোরবানি আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
কোরবানির মাসায়েল, কোরবানির মাসয়ালা, দুটি পশু কোরবানি, গরীব কোরবানি করতে চাইলে, কোরবানির পশু হারিয়ে গেলে, কোরবানির পশু চুরি হয়ে