ধর্ম ডেস্ক
০৫ জুন ২০২৩, ১১:৫৭ এএম
হজ সম্পর্কে অনেকের ধারণা অস্পষ্ট। হজ সবার জন্য ফরজ নয়। যারা কাবা শরিফ যাওয়া-আসার সার্মথ্য রাখে, কেবল তাদের ওপরই জীবনে একবার হজ করা ফরজ। কোরআনুল কারিমের ঘোষণাও এমনই।
আল্লাহ তাআলা বলেন- وَلِلّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (কাবা শরিফ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
হ্যাঁ, ঋণ করে হজ করা যাবে। যদি এ ঋণ পরিশোধ করার সহজ উপায় থাকে কিংবা যার কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হবে, তার পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য তাগাদা না থাকে। অন্যথা ঋণ করে হজ না করাই ভালো। কারণ ঋণ করার পর তা পরিশোধ করার সামর্থ্য নাও হতে পারে। আবার রোগাক্রান্ত হয়ে গেলে বা মৃত্যু হলে এ ঋণ পরিশোধ নাও হতে পারে।
আরও পড়ুন: হজ ও ওমরা পালনকারীরা যেসব প্রতিদান পাবেন
আর ঋণের বোঝা নিয়ে মৃত্যু হলে হাশরের মাঠে নিজ নেকি থেকে ঋণের দাবি পূরণ করতে হবে। (বুখারি, মেশকাত: ৫১২৬)
অতএব হজ করার জন্য পূর্ণ সামর্থ্যবান হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই উত্তম। আর পুরনো ঋণ থাকলে আগে তা পরিশোধ করা উচিত। কেননা ঋণ পরিশোধের পর মক্কায় যাওয়া-আসার খরচ অবশিষ্ট না থাকলে হজ ফরজ হয় না।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব সামর্থ্যবানকে সময়মতো হজ করার তাওফিক দান করুন। ঋণ করে হজ করলে সে ঋণ পরিশোধের তাওফিক দান করুন। আমিন।