নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩ জুন ২০২৩, ০৯:০৪ পিএম
দেশের সবচেয়ে বড় কওমি মাদরাসা দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা ইয়াহইয়ার নামাজে জানাজা মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সারাদেশ থেকে লক্ষাধিক মুসল্লি যোগ দেন। তাঁর দাফনের আগেই নির্বাচন করা হয় উত্তরসূরি।
শনিবার (৩ জুন) বাদ মাগরিব নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার আলেম-উলামা এবং তাঁর ছাত্র ও অনুসারীরা যোগ দেন। পরে তাঁকে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
এদিকে বিকেলেই দেশের ঐতিহ্যবাহী এই মাদরাসার পরবর্তী মহাপরিচালক হিসেবে মনোনীত করা হয় আল্লামা মুফতি খলিল আহমদ কাসেমীকে, যিনি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক আল্লামা হাবিবুল্লাহ কুরাইশির নাতি। এই মাদরাসার প্রবীণ শিক্ষক। একই সঙ্গে শুরার বৈঠকে মুফতি জসিম উদ্দীনকে মাদরাসার সহযোগী পরিচালক এবং মাওলানা শোয়াইব জমিরিকে সহকারী পরিচালক নিযুক্ত করা হয়। এছাড়া হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী মাদরাসার সদরে মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।
হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক এবং হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা ইয়াহইয়া শুক্রবার (২ জুন) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ জুন) তার অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় হাটহাজারী মাদরাসা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাকে ঢাকায় আনা হয়।
আল্লামা ইয়াহইয়া হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক হিসেবে ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে দীর্ঘদিন হেফাজতের কেন্দ্রীয় আমির শাহ আহমদ শফী হাটহাজারী বড় মাদরাসার মহাপরিচালক ছিলেন। ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হলে মাদরাসার প্রধান মুফতি আবদুস সালামকে প্রধান করে একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মুফতি আবদুস সালামকে মহাপরিচালক ও আল্লামা ইয়াহইয়াকে সহকারী পরিচালক ঘোষণার পরপরই মুফতি আবদুস সালাম অসুস্থ হয়ে পড়েন বৈঠকে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মুফতি আবদুস সালামের জানাজার পরপরই আল্লামা ইয়াহইয়াকে মহাপরিচালক ঘোষণা করা হয়।
জেবি