images

ইসলাম

গোসল ফরজ অবস্থায় খাওয়া-দাওয়া করা কি গুনাহ?

ধর্ম ডেস্ক

০৩ মে ২০২৩, ০৬:৫৮ পিএম

ইসলামে পবিত্রতা অর্জন অনেক মর্যাদাপূর্ণ আমল। কারণ আল্লাহ নিজে পবিত্র, বান্দার পবিত্রতাও তিনি পছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন—‘তোমরা যদি অপবিত্র অবস্থায় থাকো, তবে নিজেদের শরীর (গোসলের মাধ্যমে) ভালোভাবে পবিত্র করে নাও।’ (সুরা মায়েদা: ৬)

পবিত্রতা অর্জনের ফজিলত প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘ইসলাম পরিচ্ছন্ন। সুতরাং তোমরা পরিচ্ছন্নতা অর্জন করো। নিশ্চয়ই জান্নাতে কেবল পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিই প্রবেশ করবে।’ (ফাইজুল কাদির: ৩০৬৫)

সাধারণত সহবাস, স্বপ্নদোষ, মেয়েদের হায়েজ-নেফাস ইত্যাদি কারণে গোসল ফরজ হয়। এসব অবস্থায় ফিকহবিদদের মতে নামাজ, তাওয়াফ, কোরআন তেলাওয়াত ও স্পর্শ করা এবং মসজিদে গমন ছাড়া অন্যান্য কাজ প্রয়োজনে করা যেতে পারে।

আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত আছে, নবী (স.) তার সাথে সাক্ষাত করলেন। তখন তিনি (আবু হুরায়রা) নাপাক ছিলেন। তিনি (আবু হুরায়রা) বলেন, আমি চুপচাপ সরে গেলাম এবং গোসল করে তার নিকট এলাম। তিনি বললেন, এতক্ষণ কোথায় ছিলে, অথবা কোথায় গিয়েছিলে? আমি বললাম, আমি নাপাক ছিলাম। তিনি বললেন, মুমিন ব্যক্তি কখনও নাপাক হয় না।’ (সুনানে তিরমিজি: ১২১)

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ফরজ গোসল অবস্থায় খাবার খাওয়া উচিত না হলেও জায়েজ আছে। অপবিত্র অবস্থায় খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি অভ্যাসে পরিণত করা মাকরুহ বা অপছন্দনীয়। 

আবার, একাধিক হাদিসে অপবিত্র অবস্থায় কোনো কাজ করার আগে গোপনাঙ্গ ধুয়ে নেওয়া ও অজু করে করে নেওয়ার কথা এসেছে। যেমন- আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) জানাবাতের (গোসল ফরজ) অবস্থায় পানাহার কিংবা ঘুমানোর ইচ্ছা করলে নামাজের অজুর মতো অজু করে নিতেন। ( সহিহ মুসলিম: ৩০৫)

উল্লেখ্য, ফরজ গোসল বিলম্বিত হওয়ার কারণে যদি নামাজ কাজা হয়ে যায় তাহলে আপনাকে গুনাহগার হতে হবে। আপনার তীব্র লজ্জা এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য কোনো ওজর নয়। সুতরাং এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন হওয়ার তাওফিক দান করুন।