images

ইসলাম

ইস্তাম্বুলে মহানবীর জুব্বা প্রদর্শনী, দর্শনার্থীদের ভিড়

ধর্ম ডেস্ক

২৬ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪৪ পিএম

প্রতিবছরের মতো রমজান মাসে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে মহানবী (স.)-এর ব্যবহৃত জুব্বা মোবারক। শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ফাতিহ শহরের প্রাচীন খিরকা-ই-শরিফ মসজিদে তা দেখতে ভিড় করছেন আগ্রহীরা। প্রখ্যাত তাবেয়ি ওয়াইস আল-করনি (রহ.)-এর ৫৯তম বংশধর বারিস সামির এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। 

খিরকা শব্দের অর্থ জুব্বা বা জামা। মূলত সংরক্ষিত জুব্বার জন্যই ১৬০ বছরের পুরনো এই মসজিদের নাম মসজিদে খিরকা শরিফ রাখা হয়েছে। অষ্টকোণ আকৃতিতে তৈরি মসজিদটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেন মূল প্রার্থনাকক্ষে প্রবেশ না করেই দর্শনার্থীরা জুব্বাটি দেখতে পারে। 

তুর্কি সংবাদ মাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানায়, রমজান মাসের প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৬টার মধ্যে মহানবী (স.)-এর ব্যবহৃত জুব্বাটি দেখতে পাবেন দর্শকরা। ছুটির দিনে তা সকাল ৯টা থেকে উন্মুক্ত থাকবে। প্রতি বছর রমজান মাসের প্রথম জুমা থেকে শেষ দিন পর্যন্ত তা দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। 

ওয়াইস বিন আমির আল-কারনি (রহ.) ছিলেন একজন শীর্ষ পর্যায়ের তাবেয়ি। ৩৭ হিজরিতে ইয়েমেনে রমজানে জন্মগ্রহণ করেন এবং বেড়ে ওঠেন। মহানবী (স.)-এর যুগে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি মহানবী (স.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ইয়েমেন থেকে মদিনায় যান। কিন্তু তখন রাসুল (স.) তাবুক যুদ্ধে থাকায় সাক্ষাত হয়নি। এদিকে অসুস্থ মায়ের শুশ্রূষার জন্য কয়েক দিনের মধ্যে তাঁকে বাড়ি ফিরতে হয়। এদিকে মহানবী (স.) তাঁর সম্পর্কে জানতে পেরে ওমর (রা.) ও আলি (রা.)-কে নিজের জুব্বা দিয়ে অসিয়ত করেন যেন তার কাছে তা পৌঁছানো হয়। রাসুল (স.) সেই চাদর মিরাজের রাতে পরেছিলেন বলে মনে করা হয়।

ওয়াইস আল-করনি (রহ.) তা পেয়ে নিজের কাছে সংরক্ষণ করেন। ৩৭ হিজরিতে আলি (রা.)-এর পক্ষ হয়ে ‍সিফফিনের যুদ্ধে অংশ নেন এবং শহিদ হন। এরপর তার ভাই তা সংগ্রহ করে এবং বংশ পরম্পরায় তা সংরক্ষণ করে।

১৬১১ সালে অটোমান সুলতান আহমদের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে তার বংশধর ইস্তাম্বুলে আসে এবং সেখানেই বসবাস শুরু করে। অতঃপর খিরকায়ে-ই-শরিফ মসজিদ নির্মাণের পর সেখানে চাদরটি রাখা হয়। 

সূত্র: ডেইলি সাবাহ