রোজাদারকে ইফতার করানোর ফজিলত

পবিত্র রমজানে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক নেক কাজের প্রতিদান অনেকগুণ বাড়িয়ে দেন। অপর ভাইকে ইফতার করানো একটি বিশেষ নেক আমল। হাদিসের ভাষ্যমতে, যে আমলে রোজার সওয়াব অর্জিত হয়। জায়েদ ইবনে খালেদ আল-জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন—

‘কাউকে ইফতার করানোর উদ্দেশ্য হতে হবে, পেট ভরে তৃপ্ত করানো’ (শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া, আল ইখতিয়ারাত: পৃষ্ঠা-১৯)

সলফে সালেহিন খাবার খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রগামী ছিলেন এবং তাঁরা এটিকে মহান ইবাদত মনে করতেন। অনেকে নিজের ইফতার অন্যকে খাওয়াতেন। এদের মধ্যে রয়েছেন- ইবনে উমর, দাউদ আল-তাঈ, মালিক বিন দিনার, আহমদ ইবনে হাম্বল। 

আবু সাওয়ার আল-আদাওয়ি বলেন, বনি আদি গোত্রের লোকেরা এই মসজিদে নামাজ পড়ত। তাদের কেউ কখনো একাকি ইফতার করেনি। যদি ইফতার করার জন্য কাউকে পাওয়া যেত, তাকে নিয়ে ইফতার করত। আর যদি কাউকে না পেত, তাহলে নিজের খাবার মসজিদে এনে মানুষের সঙ্গে খেত এবং মানুষকেও খেতে দিত। (আব্দুল্লাহ আস-সালেহ-১৫পৃ.)

সম্মিলিত আমল জান্নাতের পথ সুগম করে
ইফতারে দাওয়াত ও আতিথেয়তায় হৃদ্যতা ও ভালোবাসা বাড়ে। একইসঙ্গে উত্তম লোকের সাহচর্য অর্জিত হয়। আর মুমিনদের মধ্যে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা জান্নাতে প্রবেশের কারণ। নবী (স.) বলেছেন—

যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিঃস্বার্থভাবে ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করে, মহান আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন এভাবে—

আল্লাহ তাআলা রোজাদারদের একে অপরকে ইফতার করানোর মাধ্যমে বিপুল নেকি অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।