images

ইসলাম

আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করলে শুদ্ধ হবে কি?

ধর্ম ডেস্ক

১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৫৭ পিএম

বিয়ে আল্লাহপ্রদত্ত বিশেষ নেয়ামত এবং রাসুলুল্লাহ (স.)-এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। কেউ কাউকে পছন্দ করলেই একসঙ্গে সংসার শুরু করা যায় না। এটি সুন্নত তরিকা নয়। কেউ যদি বলে যে, আল্লাহ সবচেয়ে বড় সাক্ষী; তাঁকে সাক্ষী রেখেই বিয়ে করেছি। শরিয়ত বলছে- এই বিয়ে শুদ্ধ হয়নি। 

বিয়ে করার জন্য দুজন পুরুষকে অথবা এক পুরুষ ও দুই নারীকে সাক্ষী রাখার যে নির্দেশনা নবীজি দিয়েছেন, সেটি না মানার কারণে ওই বিয়ে সহিহ হবে না। মূলত সুন্নত পরিপন্থী কোনো কাজই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। বিয়ের সাক্ষীর ব্যাপারে নবীজি (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোনো বিবাহ নেই।’ (সহিহ জামে: ৭৫৫৮)

আরও পড়ুন: ক্যারিয়ারের অজুহাতে বিয়ে করতে দেরি নয়

এমন দুইজন পুরুষ (স্বাধীন) সাক্ষী বা একজন পুরুষ (স্বাধীন) ও দুইজন মহিলা সাক্ষী হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল বলার উভয় বক্তব্য উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। (আদ-দুররুল মুখতার: ৩/৯; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/২৬৮)

যেসব মহিলা সাক্ষী ছাড়া বিয়ে করে তাদেরকে ব্যভিচারিনী আখ্যা দিয়ে সাবধান করা হয়েছে হাদিসে। বলা হয়েছে, ‘তারা হলো ব্যভিচারিনী- যারা সাক্ষী ছাড়া নিজেরাই নিজেদের বিবাহ করে নেয়। (তিরমিজি: ১১০৩)

বিয়ের শর্ত ও রুকন
বিয়ের শর্ত চারটি। ১) বিয়ে বৈধ এমন পাত্র-পাত্রী নির্বাচন ২) উভয়ের সম্মতি ৩) মেয়ের অভিভাবক থাকা ৪) দুজন (পুরুষ) ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষী থাকা অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষী থাকা।

আরও পড়ুন: পাত্রী দেখার ইসলামি পদ্ধতি কেমন

বিয়ের দুই রুকন। ইজাব ও কবুল। উল্লেখিত সকল শর্তের কোনো একটি অপূরণ থাকলে ওই বিয়ে শুদ্ধ হবে না। প্রসঙ্গত, যে মেয়ের অভিভাবক নেই, তার অভিভাবক হবে সরকার। (আহমদ, তিরমিজি, মেশকাত: ৩১৩১)

উল্লেখ্য, অভিভাবকহীন বিয়ে বা গোপন বিয়ে অসামাজিক ও অকৃতজ্ঞতাপূর্ণ কাজ। এজন্য বিয়ের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা ইসলাম পছন্দ করে না। এছাড়া গোপন বিয়েতে বহু বিপত্তি রয়েছে। তাই ইসলামের নির্দেশনা হলো- ‘বিয়ে করবে ঘোষণা দিয়ে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৪/৫)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রত্যেক বিষয়ে প্রিয়নবী (স.)-এর সুন্নত অনুসরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।