ধর্ম ডেস্ক
২২ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৫৮ এএম
যে ঘরে প্রাণীর ছবি ঝুলানো থাকে তাতে নামাজ পড়া মাকরুহ। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘যে ঘরে ছবি আছে তাতে নামাজ পড়ো না। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, বর্ণনা ৪৬১৬)
তবে কেউ ওই ঘরে নামাজ পড়লে তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে; পুনরায় পড়তে হবে না। (জামেউস সাগির, পৃ-৮৬; আলমাবসুত, সারাখসি: ১/২১১; খিজানাতুল আকমাল: ১/১০৫; খুলাসাতুল ফতোয়া: ১/৫৮; আলবাহরুর রায়েক: ২/২৭; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/১০৭)
আরও পড়ুন: নামাজ না পড়ার শাস্তি
মুসল্লির কর্তব্য হলো—নামাজের জন্য ছবিমুক্ত কোনো জায়গা নির্বাচন করা অথবা অন্তত নামাজের সময় ছবিগুলো ঢেকে রাখা। প্রাণীর চেহারা স্পষ্ট বোঝা যায়—এমন ছবির পোশাক পরে নামাজ পড়াও মাকরুহে তাহরিমি। তবে নামাজ আদায় হয়ে যাবে। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/১০৭) মূলত ইসলামে প্রাণীর ছবি আঁকা, ছবি প্রদর্শন করা, ঘর-বাড়িতে ছবি টাঙিয়ে রাখা সবই নাজায়েজ ও গুনাহের কাজ। হাদিস শরিফে এসেছে, কেয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে তাদের, যারা ছবি বানায়। (সহিহ বুখারি: ৫৯৫০)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ফেরেশতা ওই ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর থাকে এবং ওই ঘরেও না, যে ঘরে ছবি থাকে। (সহিহ বুখারি: ৫৯৪৯) উল্লেখ্য, প্রাণীর ছবি ছাড়া অন্যান্য ছবি যেমন- গাছপালা, পাহাড়, ঝরনা ইত্যাদির ছবি ব্যবহার করা নিষিদ্ধ নয়, বরং বৈধ। (শরহে নববি: ১৪/৮১; আল-বাহরুর রায়েক: ২/২৯, মেরকাতুল মাফাতিহ: ৪৪৮৯)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শরিয়তের দৃষ্টিতে অপছন্দনীয় ও হারাম কাজ থেকে দূরে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।