ধর্ম ডেস্ক
২৩ নভেম্বর ২০২২, ০৭:২৮ পিএম
চোরাই মাল স্বাভাবিকভাবে সস্তায় বেচা-কেনা হয়। একজন ক্রেতার জন্য এটিই সবচেয়ে বড় সুবিধা। অনেকে এই সুবিধা নিয়ে থাকেন। কেউ কেউ তো কোথাও চোরাই মাল এল কি না—সেই অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু একজন মুমিনের জেনে নেওয়া জরুরি যে এ ব্যাপারে ইসলামে কী নির্দেশনা রয়েছে।
ইসলামি শরিয়তে চুরির পণ্য কেনা নাজায়েজ। কেননা এতে করে চুরিকে উৎসাহিত করা হয়। এমন নয় যে আমি তো টাকা দিয়ে জিনিস কিনছি, গুনাহ হলে তারই হবে। কিন্তু এই ধারণা ভুল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা খারাপ কাজে সহযোগিতা করতেও নিষেধ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা গুনাহ ও সীমালঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কারো সহায়তা করো না।’ ( সুরা মায়েদা: ২)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো চুরির বস্তু জেনেও ক্রয় করবে, সে-ও সেই অপরাধে এবং গুনাহে শরিক হবে।’ (সুনানে বায়হাকি: ৫/৩৩৫)
উপরোক্ত আয়াত এবং হাদিস থেকে জানা গেল- চুরি হওয়া মালামাল জেনেশুনে ক্রয় করা বৈধ নয়। কেননা এতে চোরকে উৎসাহ বা সহযোগিতা করা হয়। যা সম্পূর্ণরূপে হারাম। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে চুরি-ডাকাতি ইত্যাদি কঠিন গুনাহ থেকে এবং চোরাই পণ্য কেনা থেকে দূরে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।