ধর্ম ডেস্ক
১৭ অক্টোবর ২০২২, ০৪:২৪ পিএম
ইসলামে শিরক মহাপাপ ও গুরুতর অপরাধ। এর পরিণাম ভয়াবহ। আল্লাহ তাআলা শিরকের গুনাহ কখনও ক্ষমা করেন না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তার সঙ্গে শরিক করাকে ক্ষমা করবেন না। তবে শিরক ছাড়া অন্যান্য গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন। আর যে লোক আল্লাহর সঙ্গে অংশীদার সাব্যস্ত করে; সে যেন অপবাদ আরোপ করে।’ (সুরা নিসা: ৪৮)
শিরক অর্থ- অংশীদার করা, সহযোগী বানানো, সমকক্ষ করা ও সম্পৃক্ত করা। কার্যত এমন সব বিশ্বাস, কাজ, কথা ও অভ্যাসকে শিরক বলা হয়, যার দ্বারা মহান আল্লাহর রুবুবিয়্যাত (রব), উলুহিয়্যাত (ইলাহ), নাম ও গুণাবলীতে অপর কারো অংশীদারিত্ব বা সমকক্ষতা প্রতীয়মান হয়। আকিদার পরিভাষায়, শিরক হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও সীমাবদ্ধ কোনো বিষয় অন্য কারো জন্য করা। তাওহিদের সম্পূর্ণ বিপরীত দিকটি হচ্ছে শিরক। সবচেয়ে বড় অত্যাচারের নাম শিরক। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর সঙ্গে শরিক করো না। নিশ্চয়ই শিরক অতি বড় জুলুম।’ (সুরা লোকমান: ১৩)
সর্বপ্রথম শিরক শুরু করে নুহ (আ.)-এর সম্প্রদায়
সর্বপ্রথম হজরত নুহ (আ.)-এর সম্প্রদায় পৃথিবীতে শিরক শুরু করে। ঐতিহাসিকদের মতে, নুহ (আ.)-এর জাতির নাম ছিল রাসিব। তারাই পৃথিবীতে প্রথম শিরক ও মূর্তিপূজার প্রচলন করে। আধুনিক যুগের ইতিহাস গবেষকদের ধারণা, পৃথিবীতে নুহ (আ.)-এর আগমন হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব দুই থেকে চার হাজার বছর আগে। হাদিসে এসেছে, আদম (আ.)-এর আগমনের এক হাজার বছর পর নুহ (আ.)-এর আগমন হয়। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ১৪/৪০)
নুহ (আ.)-এর সম্প্রদায়ের পাঁচজন বড় আলেম ছিলেন; যাঁরা মহান বিধাতার ইবাদতে মগ্ন থাকতেন, মানুষকে দীনের প্রতি আহ্বান করতেন। পবিত্র কোরআনের ভাষ্যমতে সেই পাঁচ ব্যক্তির নাম—ওয়াদ, সুআ, ইয়াগুছ, ইয়াউক ও নছর। এই নেক বান্দারা মানুষদেরও একত্ববাদের শিক্ষা দিতেন। তাঁরা একসময় একে একে মৃত্যুবরণ করেন। এতে সাধারণ লোকজন বলে, হায় আফসোস! যাঁরা আমাদের ইবাদতের কথা বলতেন, বিভিন্ন আমলের কথা বলতেন, আল্লাহর বিধান মেনে চলার কথা বলতেন, তাঁরা আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। আমরা তো এতিম হয়ে গেলাম। এ জগতে তো দীন প্রচারের আর কোনো আগত নতুন বুজুর্গ দেখছি না।
এ অবস্থায় শয়তান তাদের কুমন্ত্রণা দেয় যে তোমরা পাথর ও কংক্রিট দ্বারা তাঁদের মূর্তি বানিয়ে নাও এবং উপাসনালয়ে সেগুলো প্রতিস্থাপন করে নাও। সেগুলো দেখলে তোমাদের ঈমান তাজা হবে। আনন্দচিত্তে আল্লাহর ইবাদত করতে মন চাইবে। জনগণ শয়তানের এই প্ররোচনাকে ভালো পরামর্শ মনে করল এবং তাঁদের প্রতিকৃতি অনুসরণে তাঁদের মূর্তি বানিয়ে ফেলল, যাতে সেগুলোকে দেখে ইবাদত ও নেক কাজ করতে পারে। বাস্তবতাও ছিল এমন যে যখন ওই সময়ের লোকজন এ মূর্তিগুলো দেখত তখন তারা আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হয়ে যেত।
এভাবে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হতে থাকে। একপর্যায়ে যারা মূর্তি প্রতিস্থাপন করেছে তারা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। কিন্তু তারা মূর্তির উপাসনা করেনি। তাদের পরবর্তী প্রজন্মের লোকগুলো মূর্তিগুলোকে সম্মান ও প্রশংসা করতে লাগল। এরপর আরো পরবর্তী প্রজন্মের যুগ আসে। একসময় শয়তান তাদের বলে, তোমাদের বাপ-দাদারা এসব মূর্তিরই পূজা করত। যখন তাদের মাঝে দুর্ভিক্ষ দেখা দিত কিংবা তারা কোনো বিপদের সম্মুখীন হতো তখন তারা সঙ্গে সঙ্গে এই মূর্তিগুলোর শরণাপন্ন হতো। সুতরাং তোমরাও এগুলোর পূজা-অর্চনা করো, দেখবে তোমাদেরও সব বিপদাপদ দূর হয়ে যাবে। শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে এসব লোক একপর্যায়ে মূর্তির পূজা-অর্চনা শুরু করে দিল এবং আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতার সাগরে ডুবে গেল।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, কোরআনে বর্ণিত ওয়াদ, সুয়া, ইয়াগুছ, ইয়াউক ও নছর হচ্ছে, নুহ (আ.) এর কওমের কিছু মহৎ লোকের নাম। তাদের মৃত্যুর পর শয়তান জনগণকে বোঝালো, তোমরা এসব ব্যক্তির বৈঠকখানার পাশে একটি ভাস্কর্য তৈরি করো। প্রতিটি ভাস্কর্যকে তোমরা সেই মহৎ ব্যক্তির নামে নামকরণ করবে। অতএব তারা শয়তানের প্ররোচনায় ভাস্কর্য তৈরি করল বটে, কিন্তু কোনোদিনই সেগুলোর উপাসনা করেনি। অবশ্য কিছুদিন পর নতুন প্রজন্মের লোকজন ভক্তি ও স্মৃতির সীমালঙ্ঘন করে এসব মূর্তির উপাসনা শুরু করে। (সহিহ বুখারি: ৪৬৩৬)
এ অবস্থায় আল্লাহ তাআলা হজরত নূহ (আ.)-কে তাদের কাছে পাঠান, হজরত নূহ (আ.) সাড়ে ৯০০ বছর তাদের দীনের দাওয়াত দেন। কিছুসংখ্যক লোক তাঁর কথায় ঈমান আনে। বেশির ভাগই তাঁর কথা শোনেনি। মহান আল্লাহ বিষয়টি এভাবে বলেছেন, তাদের নেতারা বলল, তোমরা (নূহ এর কথায়) তোমাদের দেবতাদের ত্যাগ করো না। তোমরা ছেড়ে দিও না, ওয়াদ, সুয়া, ইয়াগুছ, ইয়াউক ও নছরকে। (সুরা নুহ: ২৩)
শেষ পর্যন্ত অবাধ্যদের ওপর আল্লাহ তাআলার গজব অবতীর্ণ হয় এবং তুফান দিয়ে তাদের ধ্বংস করে দেওয়া হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি অবশ্যই নুহকে তার সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করেছিলাম; সে তাদের মধ্যে অবস্থান করেছিল সাড়ে নয়শ বছর। অতঃপর বন্যা তাদেরকে গ্রাস করল; কারণ তারা ছিল সীমাঙ্ঘনকারী। (সুরা আনকাবুত: ১৪)
ইবরাহিম (আ.)-এর সম্প্রদায়ের মধ্যে যেভাবে শিরক শুরু হয়
ইবরাহিম (আ.)-এর সম্প্রদায় তারকারাজি ও ফেরেশতাদের পূজা করত। তাদের ধারণা ছিল, পার্থিবজগতে এসবেরই হুকুম চলে। যাবতীয় বিপদাপদ দূর করে এরাই। প্রার্থনা কবুল করে ও প্রয়োজন পূরণ করে এরাই। এই তারকারাজিই হলো আল্লাহ ও সৃষ্ট জীবের মধ্যখানে সম্পর্ক স্থাপনের একমাত্র মাধ্যম। এরাই তাদের প্রার্থনা আল্লাহর দরবারে পৌঁছে দেয় এবং এদেরকেই এই ভূমণ্ডলে হস্তক্ষেপের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ কারণেই ইবরাহিম (আ.)-এর সম্প্রদায় মূর্তি বানানো শুরু করে। কেউ মূর্তি বানাত তারকারাজির প্রতিকৃতি অবলম্বনে আবার কেউ বানাত ফেরেশতাদের প্রতিকৃতি অবলম্বনে। ইবরাহিম (আ.)-এর পিতাও মূর্তি বানাত এবং সন্তানদের বলত এগুলো বাজারে বিক্রি করে আসো। সন্তানরা সেই মূর্তি বাজারে বিক্রি করে আসত। ইবরাহিম (আ.)-কে মূর্তি বিক্রির উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক বাজারে পাঠাত। ইবরাহিম (আ.) মূর্তি নিয়ে বাজারে যাওয়ার পথে বিড়বিড় করে বলতেন— ‘আপনাদের কাছে আমি মূর্তি বিক্রি করছি। যে মূর্তি কারো ক্ষতি বা উপকার করতে পারে না।’
ইবরাহিম (আ.)-এর ভাইয়েরা মূর্তি বিক্রি করে বাড়ি ফিরে আসত আর ইবরাহিম (আ.) মূর্তি যেভাবে বাজারে নিতেন ঠিক সেভাবে আবার ফিরিয়ে আনতেন। আস্তে আস্তে ইবরাহিম (আ.) নিজের পিতা ও সম্প্রদায়কে মূর্তির ইবাদত থেকে বাধা প্রদান করতে লাগলেন। কিন্তু তাঁর দাওয়াত তারা গ্রহণ করল না। একপর্যায়ে ইবরাহিম (আ.) তাদের মূর্তি ভেঙে ফেললেন। বিষয়টি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে এভাবে—তারপর সে মূর্তিগুলোকে টুকরো টুকরো করে দিল, ওগুলোর বড়টি ছাড়া, যাতে পূজারীরা ওটার প্রতিই মনোযোগী হয়। তারা বলল, আমাদের মাবুদগুলোর প্ৰতি এরূপ করল কে? সে নিশ্চয়ই অন্যতম জালেম। লোকেরা বলল, আমরা ইবরাহিম নামের এক যুবককে ওদের (মূর্তিগুলোর) সমালোচনা করতে শুনেছি। (সুরা আম্বিয়া: ৫৮-৬০)
এরপর তারা ইবরাহিম (আ.)-কে প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করল। আল্লাহ তাঁকে সেখান থেকে আপন কুদরতে রক্ষা করেন। পবিত্র কোরআনে এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা বলল, তাকে পুড়িয়ে ফেল, আর সাহায্য করো তোমাদের মাবুদদের, তোমরা যদি কিছু করতে চাও। আমি বললাম, ‘হে আগুন, তুমি শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও ইবরাহিমের জন্য। আর তারা তার ক্ষতি সাধনের ইচ্ছা করেছিল, কিন্তু আমি তাদেরকেই সর্বাধিক ক্ষতিগ্ৰস্ত করে দিলাম।’ (সুরা আম্বিয়া: ৬৮-৭০)
যেভাবে শিরকের প্রচলন ঘটে
নূহ (আ.) ও ইবরাহিম (আ.)-এর সম্প্রদায়ের আলোচনার এ পটভূমিতে আমরা যদি বর্তমান যুগের শিরককারীদের সম্পৃক্ততা মিলিয়ে দেখি, তাহলে দেখা যাবে যুগে যুগে প্রায় একই পদ্ধতিতেই শিরকের প্রচলন শুরু হয়। প্রথমে নেককার মানুষকে তাজিম জানানোর মাধ্যমে, পরে সেটি শিরকে আকবরে পরিণত হয়। বর্তমান যুগের শিরক আমাদের তিনটি ধাপে বুঝতে হবে। যেমন—
১. নেককার আল্লাহর ওলিদের সম্মান প্রদর্শন: শিরকের শুরুর দিকে মানুষ কবরের অধিবাসীকে শুধু নেককার ও আল্লাহর ওলি মনে করে। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে তাদের মনের মধ্যে শিরকের প্রভাব বিস্তার করে। ‘জেনে রাখ, অবিমিশ্র আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য। যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা বলে, “আমরা তো এদের পূজা এজন্যই করি যে, এরা আমাদেরকে আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে।” তারা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে আল্লাহ তার ফয়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফের আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।’ (সুরা জুমার: ৩)
২. কবর জিয়ারত: আস্তে আস্তে কবর জেয়ারতকে পুণ্যার্জনের একমাত্র অবলম্বন মনে করে। এই জেয়ারত মৃত্যু কিংবা পরকালের স্মরণে করা হয় না, বরং নেককার ও আল্লাহর ওলিদের স্মরণে করা হয়। আল্লাহ তাআলার দরবারে কবরের অধিবাসীর উচ্চ মর্যাদা রয়েছে মনে করা হয়। এভাবে ধীরে ধীরে আল্লাহ তাআলার দরবারে সুপারিশ করার জন্য তাঁকে ওসিলা বানায়। কারণ কবর পূজারির মস্তিষ্কে ঢুকে আছে, এই কবরের অধিবাসী একজন বড় বুজুর্গ ছিলেন। আল্লাহর ওলি ছিলেন; যাঁর আল্লাহ তাআলার দরবারে একচ্ছত্র অধিকার ছিল। সর্বশেষ সে নিজের ও আল্লাহ তাআলার মাঝখানে কবরের অধিবাসীকে ওসিলারূপে গ্রহণ করে। ‘..তারা বলে, এরা আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী। বলুন, তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিচ্ছ, যা তিনি জানেন না? তিনি মহান, পবিত্র এবং তারা যাকে শরিক করে তা হতে তিনি ঊর্ধ্বে।’ (সুরা ইউনুস: ১৮)
৩. শয়তানের দখলদারি: শয়তান কবর পূজারিদের মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দিয়েছে, এই বুজুর্গ ব্যক্তিদের যখন আল্লাহর দরবারে অনেক মর্যাদা রয়েছে, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তাঁদের অনেক ক্ষমতা ও কুদরতও প্রদান করেছেন। কবর পূজারি তখন মনে মনে কবরের অধিবাসীদের সম্মান প্রদর্শন করতে থাকে। তাঁদের থেকে উপকার পাওয়ার আশায় বুক বাঁধে। একপর্যায়ে বুক চাপড়িয়ে তাঁদের ডাকা শুরু করে এবং তাঁদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। সেখানে মোমবাতি ও প্রদীপ প্রজ্বালন করে। এরপর মাজারের সামনে সেজদাবনত হয়। মাজারকে হাজরে আসওয়াদের মতো চুম্বন করে। প্রাণী জবেহ করে। ধীরে ধীরে কবরের অধিবাসীদের সম্পর্কে বিভিন্ন কারামাত ও কল্পকাহিনি বলে বেড়ায় যে, অমুক মহিলা এখানে এসে দোয়া করায় তার পছন্দের স্বামী পেয়েছে। অনেকে ব্যবসায় উন্নতি করেছে। অনেকে এমনও বলে, যে ব্যক্তি মাজারের দরজা জিয়ারত করে, সে-ও নিরাশ হয় না। সে-ও খালি হাতে ফেরে না। অথচ আল্লাহ তাআলার পরিষ্কার ঘোষণা- ‘কেউ আল্লাহর সঙ্গে শিরক করলে অবশ্যই আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করবেন এবং তার আবাস জাহান্নাম। আর জালেমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।’ (সুরা মায়েদা: ৭২)
যারা আল্লাহওয়ালাদের কবরের পূজা করে আর যারা পানি বা মাটির পূজা করে—এদের মধ্যে মূলত কোনো পার্থক্য নেই। অথচ সবারই দাবি, ‘আমরা শুধু তাঁদের ইবাদত এই উদ্দেশ্যে করি, যাতে তাঁরা আমাদের আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে দেন।’ (সুরা : জুমার: ৩) অথচ তারাই ক্ষমার অযোগ্য, সবচেয়ে বড় দিকভ্রান্ত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের থেকে অধিকতর দিকভ্রান্ত আর কে আছে, যারা আল্লাহ ব্যতীত এমন সব উপাস্যকে ডাকে যারা কেয়ামত পর্যন্তও তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। অধিকন্তু তারা তাদের ডাকাডাকি সম্বন্ধে কোনো খবর রাখে না। (সুরা আহকাফ: ৫)
রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে তার সমকক্ষ বা অংশীদার মনে করে তার নিকট দোয়া প্রার্থনা করে, আর ওই অবস্থায় মারা যায় সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে’ (বুখারি: ৪৪৯৭)। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিরকের মতো ভয়াবহ গুনাহ থেকে হেফাজত করুন। আমিন।