images

ইসলাম

কঠিন অন্তরে ইবাদতের ঝোঁক তৈরি হয় যেভাবে

ধর্ম ডেস্ক

০৫ মার্চ ২০২২, ১০:৪৫ এএম

ইবাদতে মনোযোগ বাড়াতে অন্তরই হচ্ছে মূল চালিকাশক্তি। তবে পাপ করতে করতে অন্তর যদি রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে, তখন ইবাদতকে মনে হয় অনেক কঠিন।

৫ মিনিটের ইবাদতকেও মনে হয় পাহাড়সমান কষ্টের। অথচ ওই বান্দাই অনেকক্ষণ ধরে মোবাইলে সময় কাটান। কেউ তো ঘণ্টাব্যাপী ফুটবল খেলেও বিরক্ত হন না, যতটা না তার কষ্ট হয় ৫ মিনিটের কোরআন তেলাওয়াতে। তাই আল্লাহ তাআলা বলছেন—

“…নামাজ প্রতিষ্ঠা করা (অবশ্যই একটি) কঠিন কাজ, কিন্তু যারা (আল্লাহকে) ভয় করে তাদের কথা আলাদা।” (সুরা বাকারা: ৪৫)

এরকম অবস্থা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া মুমিন মুসলমানের জন্য খুবই জরুরি। ইবাদত করলেও তা যেন লোক দেখানোর মাধ্যমে পরিণত না হয়। আল্লাহ তাআলা ওসব বান্দাদের আমল ভালো করেই লক্ষ্য করেন। তাদের বাইরের-ভেতরের সবকিছু তিনি জানেন, দেখেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন—

“অবশ্যই মোনাফিকরা প্রতারণা করেছে আল্লাহর সাথে, অথচ তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করে। বস্তুত তারা যখন নামাজে দাঁড়ায়, একান্ত অলসভাবে লোক দেখানোর জন্য। আর তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে।”(সুরা নিসা: ১৪২)


দেহের অঙ্গগুলো সাধারণত হৃদয় থেকে যে সংকেত পায়, সে অনুসারে কাজ করে। আর অন্তরে যত বেশি সজীবতা থাকবে, আল্লাহর ইবাদতে তত বেশি মনোযোগ সৃষ্টি হবে। ইবাদত করার সময় অন্যরকম এক প্রশান্তি অনুভূত হবে। একাগ্রতাও বেড়ে যায় তখন। একইসঙ্গে সবকিছু তখন ধীরস্থিরভাবে এবং জেনেবুঝে করার চেষ্টা করেন একজন মুমিন। অন্তরে আল্লাহর ভয় ও ইবাদতের প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা বেড়ে যায়। যখন তিনি ইমামের পেছনে নামাজ পড়েন, তখন মনে মনে বলেন ‘ইস! যদি নামাজটা আরো দীর্ঘ করা হতো!’

এভাবেই বান্দা নিজের অন্তরকে শক্তিশালী করেন। এক পর্যায়ে নামাজের সময় হলে বিছানার প্রতি এক ধরণের ঘৃণার মনোভাব গড়ে ওঠে বান্দার। মহান আল্লাহ ওসব মুমিনদের প্রশংসা করে বলেন—

“…তাদের পার্শ্বদেশ (রাতের বেলায়) বিছানা থেকে আলাদা থাকে, তারা (আজাবের) ভয়ে এবং (জান্নাতের) আশায় তাদের মালিককে ডাকে।”(সুরা আস-সাজদাহ: ১৬)

সুতরাং ইবাদতে অধিক মনোযোগী হওয়ার জন্য অবশ্যই অন্তরকে সতেজ ও শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মননে-মগজে ইবাদতের প্রতি অধিক আন্তরিক ও যত্নশীল হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএ