ধর্ম ডেস্ক
০৭ অক্টোবর ২০২২, ১২:৪৫ পিএম
আনন্দের মুহূর্তে বা বিশেষভাবে পবিত্রতা লাভের উদ্দেশ্যে দুধ দিয়ে গোসল করতে দেখা যায় অনেককে। তাদের ধারণা- এতে আগের সব পাপ মোচন হবে এবং নতুন একটি জীবন শুরু হবে। আসলে এটি উদ্ভট, অপ্রয়োজনীয় ও কুসংস্কারমূলক কাজ ছাড়া কিছুই নয়।
কোনো অর্জন বা সাফল্যে মুমিন বান্দা আনন্দিত হবে-এটি স্বাভাবিক। এই আনন্দে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা উচিত। অপবিত্র থাকলে পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল ও অজু করে শুকরিয়াস্বরূপ দুরাকাত নফল নামাজ পড়া যায়। এতে সওয়াব আছে। আসলে বান্দা কখনও আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞ হতে পারে না। কারণ এটি সৃষ্টিকর্তার বিধান। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আমাকে স্মরণ করো, তা হলে আমিও তোমাদের স্মরণ করব। আর তোমরা আমার নেয়ামতের শোকর আদায় করো, আমার অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো না।’ (সুরা বাকারা: ১৫২)
সালাতুশ শোকর বা শুকরিয়ার নামাজের স্বতন্ত্র কোনো নিয়ম নেই, বরং অন্যান্য নফল নামাজের মতো করেই আদায় করতে হবে। (ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া: ৭/১২৫)
দুধ পবিত্র খাবার। দুধের মতো পবিত্র জিনিস দিয়ে গোসল করব, এতে দোষ কী- এ জাতীয় ধারণা সঠিক নয়। কারণ দুধ পবিত্র হলেও এর ব্যবহার সঠিক স্থানে হতে হবে। দুধ দিয়ে গোসলের ক্ষেত্রে দুধের সঠিক ব্যবহার তো হচ্ছেই না, বরং তাতে অর্থ ও খাদ্যের অপচয় হচ্ছে। ইসলামে অপচয় নিষিদ্ধ।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আদমসন্তান, তোমরা খাও এবং পান করো, তবে অপচয় করো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা আরাফ: ৩১)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা অপচয় করে, তারা শয়তানের ভাই এবং শয়তান তার রবের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৮)
সুতরাং এ ধরনের অপচয়মূলক কাজ থেকে আমরা বিরত থাকবো। আল্লাহ তাআলা সবাইকে সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।