ধর্ম ডেস্ক
০২ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৩৬ এএম
প্রিয়নবী (স.) উম্মতকে জানা-অজানা শিরক থেকে বেঁচে থাকার দোয়া শিখিয়েছেন। কেননা ‘আল্লাহ তাআলা সকল গুনাহ ক্ষমা করলেও শিরকের গুনাহ ক্ষমা করেন না’ (সুরা নিসা: ৪৮)। প্রকৃত মুমিন মাত্রই ছোট-বড় জানা-অজানা সকল প্রকার শিরক থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবেন এবং আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করবেন।
হাদিসে বর্ণিত নবীজির শেখানো শিরকমুক্ত থাকার দোয়াটি হলো— ااَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ اَنْ أشْرِكَ بِكَ وَاَنَا أَعْلَمُ وَاَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন-আশরিকা বিকা, ওয়া আনা আ’লামু; ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা লা আ’লামু।’ অর্থ: হে আল্লাহ, আমি সজ্ঞানে তোমার সঙ্গে শিরক করা থেকে তোমার আশ্রয় চাই এবং যা আমার অজ্ঞাত, তা থেকেও তোমার কাছে ক্ষমা চাই। (আল-আদাবুল মুফরাদ: ৫৫১)
হজরত মাকিল ইবনে ইয়াসার (রা.) বলেন, আমি আবু বাকর সিদ্দিক (রা.)-এর সঙ্গে নবী (স.)-এর কাছে গেলাম। তিনি (স.) বলেন, হে আবু বকর! নিশ্চয়ই শিরক পিপীলিকার পদচারণা থেকেও সন্তর্পণে তোমাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। আবু বাকর (রা.) বলেন, আল্লাহর সঙ্গে কিছুকে ইলাহরূপে গণ্য করা ছাড়াও কি কারো শিরক আছে? নবী (স.) বলেন, সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! শিরক পিপীলিকার পদধ্বনির চেয়েও সূক্ষ্ম। আমি কি তোমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দেব না, তুমি যা বললে কম বা বেশি সব শিরকই দূর হয়ে যাবে? তিনি বলেন, তুমি বলো— ‘হে আল্লাহ, আমি সজ্ঞানে তোমার সঙ্গে শিরক করা থেকে তোমার আশ্রয় চাই এবং যা আমার অজ্ঞাত, তা থেকেও তোমার কাছে ক্ষমা চাই।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ: ৫৫১)
তবে, কারো যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কুফরি বা শিরকি বাক্য মুখ থেকে বের হয়ে যায়, তাহলে ঈমানের কোনো ক্ষতি হয় না। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মতের ভুল, বিস্মৃতি এবং বাধ্য হয়ে করা বিষয় ক্ষমা করেছেন।’ (ইবনে মাজাহ: ২০৪০)
তারপরও ঈমান ও কুফরের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা উচিত, যেন কখনো কুফরি বা শিরকি কথা অসতর্কতায়ও প্রকাশ না পায়। ‘সুতরাং যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার প্রতিপালকের উপাসনায় কাউকেও শরিক না করে।’ (সুরা কাহাফ: ১১০)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সবসময় শিরক থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। প্রিয়নবী (স.)-এর শেখানো শিরক থেকে বাঁচার দোয়া নিয়মিত পাঠ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।