images

ইসলাম

মন্দ কাজের শপথ করলে করণীয় কী?

ধর্ম ডেস্ক

১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:১৫ পিএম

মানুষ ভালো-মন্দ যেকোনো কসম করে বসতে পারে। গুনাহের কাজের কসম করা ইসলামে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তারপরও কেউ যদি অন্যায় কাজের কসম করে, সেটি কসম হিসেবেই বিবেচিত হবে। তখন তার করণীয় কী, নিচে তা তুলে ধরা হলো।

কেউ গুনাহে লিপ্ত হওয়ার শপথ করলে তা ভেঙে ফেলতে হবে, সঙ্গে কাফফারা দিতে হবে, তাওবা ইস্তেগফারও করতে হবে। যেমন কেউ কসম করলো যে, আমি মা-বাবার সঙ্গে কথা বলবো না, ব্যভিচার করবো, অমুককে হত্যা করবো অথবা শরাব পান করবো— তাহলে তার শপথ ভেঙে ফেলতে হবে এবং কাফফারা দিতে হবে এবং তওবা-ইস্তেগফার করতে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৩/১৭)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (স.) বলেন— 

যে ব্যক্তি কোনো কিছুর কসম করে, তারপর এর বিপরীত কাজে কল্যাণ দেখে, তাহলে সে যেন উক্ত কল্যাণধর্মী কাজটি করে এবং স্বীয় কসমের কাফফারা দিয়ে দেয়। (সহিহ বুখারি: ৬২৪৭; মুসলিম: ৪৩৬২; মুসনাদে আহমদ: ১৮২৫১; সহিহ ইবনে হিব্বান: ৪৩৫২)

উল্লেখ্য, কসম পূরণ না হলে কাফফারা ওয়াজিব। কসম ভঙ্গ করার পরই কাফফারা আদায় করতে হবে। কাফফারার দুই পদ্ধতি: (এক) ১০ মিসকিনকে দুই বেলা পেট ভরিয়ে খানা খাওয়ানো। (দুই) ১০ মিসকিনকে ১০ সেট পোশাক প্রদান করা। এ দুটির যেকোনোটি বেছে নেওয়ার সুযোগ আছে। এর কোনোটিতেই সক্ষম না হলে ধারাবাহিক তিনটি রোজা রেখেও কাফফারা আদায় করা যায়। (সুরা মায়েদা: ৮৯; দুররুল মুখতার: ৩/৭২৫)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইসলামের প্রতিটি বিধান যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।