ধর্ম ডেস্ক
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৪২ পিএম
কাবা আল্লাহর ঘর। বিশ্বমুসলিমের সম্মিলনস্থল। পৃথিবীর সব মুসলমানের কাছে পবিত্র কাবা সবচেয়ে পবিত্র ও সম্মানের স্থান এবং নামাজের কেবলা। পবিত্র কাবা-সংশ্লিষ্ট কিছু স্থান স্পর্শ করা ও চুমু খাওয়া নবী (স.) ও সাহাবা-তাবেঈন থেকে প্রমাণিত। নিচে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
১) হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করা, চুমু খাওয়া হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
২) বায়তুল্লাহর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত রোকনে ইয়ামানি। এই কোণে ডান হাত বা উভয় হাত দ্বারা স্পর্শ করা সুন্নত। কেউ কেউ চুমু খাওয়ার কথাও বলেছেন।
আরও পড়ুন: হাজরে আসওয়াদ কেমন পাথর, চুম্বন করতে হয় কেন?
৩) হাজরে আসওয়াদ থেকে বায়তুল্লাহর দরজা পর্যন্ত জায়গাকে মুলতাজাম বলে। এখানে সিনা, গাল ও উভয় হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে দোয়া করার কথা হাদিসে বর্ণিত আছে। (মুলতাজাম শব্দের অর্থই হলো আবিষ্ট হওয়ার স্থান অর্থাৎ বক্ষ, মুখমণ্ডল, হাত দিয়ে আবেষ্টন করার স্থান।)
৪) কাবাঘরের দরজার চৌকাঠ ধরা এবং দোয়া করা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
(সূত্র: জামে তিরমিজি: ১/১৭৪; মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ১৩৯৬৪, মানাসিক, পৃষ্ঠা-১৩৭)
আরও পড়ুন: ইতিহাসের একমাত্র ব্যক্তি, যাঁর জন্ম কাবা শরিফের ভেতরে
উল্লেখ্য, কাবাঘরের সব স্থানে চুমু দেওয়া, সিনা লাগানো নবী (স.) ও সাহাবায়ে কেরাম দ্বারা প্রমাণিত নয় এবং তা সওয়াবের কাজও নয়। কারণ যেকোনো কাজ নেক আমলে পরিণত হয় শুধুমাত্র সুন্নাহ অনুযায়ী করা হলে। তা-ই নবী (স.) ও সাহাবা-তাবেঈন থেকে যেসব স্থান স্পর্শ করা আর চুমু খাওয়া প্রমাণিত নয়, ওসব কাজ সুন্নত ভেবে করা অজ্ঞতার পরিচায়ক।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইলম দান করুন। জীবনের প্রত্যেকটি কাজ-কর্মে সুন্নাহ অনুসরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।