ধর্ম ডেস্ক
২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:১১ পিএম
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য বহুল প্রতীক্ষিত সময় পবিত্র রমজান মাস। জ্যোতির্বিদ্যাভিত্তিক হিসাব ও বাংলাদেশের চাঁদ দেখার পদ্ধতির আলোকে, ২০২৬ সালে (১৪৪৭ হিজরি সনের) রমজান শুরু হতে পারে ১৯ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে রমজান শুরু হতে পারে ১৮ ফেব্রুয়ারি, বুধবার। তবে আরবি মাস চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এ তারিখ একদিন আগে বা পরে হতে পারে।
আরও পড়ুন: পবিত্র রমজানের মর্যাদা ও বিশেষত্ব
১. শীতকালীন রমজান: ২০২৬ সালের রমজান পড়বে শীতের শেষ ও বসন্তের শুরুতে, ফলে দিনের দৈর্ঘ্য তুলনামূলকভাবে ছোট এবং আবহাওয়া আরামদায়ক থাকবে, যা রোজাদারদের জন্য কিছুটা স্বস্তিদায়ক হতে পারে।
২. চাঁদ দেখার অনিশ্চয়তা: ইসলামিক ক্যালেন্ডার চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। ২৯ শাবান তারিখে নতুন চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবে এবং রমজান শুরু হবে পরের দিন। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখার ভিত্তিতে তারিখ ঘোষণা করে।
৩. সিয়ামের সম্ভাব্য সময়: শীতের শেষভাগ হওয়ায় বাংলাদেশ ও আশপাশের অঞ্চলে সাহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত সময় গড়ে প্রায় ১৩–১৪ ঘণ্টা হতে পারে, যা গ্রীষ্মকালের তুলনায় কিছুটা কম।
৪. স্থানীয় চাঁদ দেখা প্রথা: বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চাঁদ দেখা কমিটি স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে রমজানের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করে। সৌদি আরবের তারিখের তুলনায় বাংলাদেশে সাধারণত একদিন পার্থক্য থাকে।
আরও পড়ুন: রমজানকে স্বাগত জানানোর পদ্ধতি
উল্লিখিত তারিখগুলো জ্যোতির্বিদ্যা ভিত্তিক গণনা এবং বিভিন্ন সূত্রের প্রতিবেদনের আলোকে প্রদত্ত। চূড়ান্ত তারিখ বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার ওপর নির্ভরশীল। রমজানের শুরু ও ঈদুল ফিতরের তারিখ স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখার মাধ্যমেই চূড়ান্ত রূপ পাবে।
২০২৬ সালের রমজান বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য হয়ে উঠুক আত্মশুদ্ধি, সংযম এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির এক অপূর্ব সুযোগ। আরামদায়ক আবহাওয়া রোজাদারদের ইবাদত-বন্দেগিতে আরও মনোযোগী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি ককরুক। আমিন।