জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৭ পিএম
নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনাকে ‘অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক’ আখ্যা দিয়ে এর কঠোর সমালোচনা করেছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও লেখক মিজানুর রহমান আজহারী।
তার প্রশ্ন, ‘কেউ মানসিক ভারসাম্যহীন হলে মানসিক হাসপাতালে যাবে, অথবা যাবে রিহ্যাব সেন্টারে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন?’
রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।
আজহারী লিখেছেন, ‘নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কোরআন অবমাননার এই ঘটনা দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে গভীর ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। এর আগে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদিসের উদাহরণ দেওয়ার কারণে এক শিক্ষকের বহিষ্কার গোটা দেশ দেখেছে। এসব কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের অংশ।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ‘কেউ কেউ দেশের এই ক্রান্তিকালে পরিকল্পিতভাবে দাঙ্গা-হাঙ্গামা লাগানোর পাঁয়তারা করছে। এটা দেশকে অশান্ত করার একটি নীলনকশার অংশও হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে ওই নরাধমকে বহিষ্কার করা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।’
আজহারী লিখেছেন, ‘নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অমুসলিম শিক্ষার্থীদেরও উচিত এর কঠোর প্রতিবাদ জানানো। কোরআন এসেছে গোটা মানবজাতির হেদায়েত হিসেবে। কোনো ধর্মগ্রন্থের অবমাননাই বরদাশত করা যায় না।’
তিনি লিখেছেন, ‘প্রতিবাদ কর্মসূচির পাশাপাশি আগামী এক মাস নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ কোরআন তিলাওয়াত, কোরআন স্টাডি সার্কেল, কোরআনের অনুবাদ ও তাফসির বিতরণ কর্মসূচি পালন করা যেতে পারে।’
জনপ্রিয় এই ইসলামি বক্তা আরও লিখেছেন, ‘আমাদের প্রতিবাদ কেবল ঘৃণায় নয়, দায়িত্বশীলতায় হোক। ইসলামবিদ্বেষের প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা ইসলামের সুমহান আদর্শকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেব, ইনশাআল্লাহ।’
পোস্টের শেষে তিনি সূরা আস-সফ-এর আয়াত উদ্ধৃত করেন— ‘তারা তাদের মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর জ্যোতিকে নিভিয়ে দিতে চায়। অথচ আল্লাহর ফয়সালা হলো, তিনি তাঁর জ্যোতিকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন, অবিশ্বাসীদের কাছে তা যতই অসহনীয় হোক না কেন।’ [সূরা আস-সফ: ৮]
এদিকে কোরআন অবমাননার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী অপূর্ব পালকে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। ইতোমধ্যে সে গ্রেফতারও হয়েছে।
টিএই/এএইচ