ধর্ম ডেস্ক
২৩ জুন ২০২২, ০১:১৭ পিএম
প্রিয়নবী (স.) তাঁর উম্মতকে কিছু নির্দিষ্ট দোয়া ও আমল প্রতিদিন ১০০ বার করার জন্য উৎসাহিত করেছেন। তাই উম্মত হিসেবে আমাদের উচিত প্রতিদিন আমলগুলো নবীজির কথা অনুযায়ী যথানিয়মে করা। নিচে এমন পাঁচটি দোয়া ও আমল নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১) প্রতিদিন ১০০ বার এই দোয়া পড়া—لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’ অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সব প্রশংসা একমাত্র তাঁরই জন্য, আর তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’
আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার এ দোয়া পড়বে, তার ১০টি গোলাম আজাদ করার সওয়াব হবে। তার জন্য ১০০ পুণ্য লেখা হবে এবং ১০০ গুনাহ মিটিয়ে ফেলা হবে। ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান থেকে রক্ষিত থাকবে। কোনো মানুষ তার চেয়ে উত্তম সওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, ওই ব্যক্তি সক্ষম হবে, যে তার চেয়ে এই আমল বেশি পরিমাণে করবে।’ (বুখারি: ৩২৯৩)
২) প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় ১০০ বার এই বাক্যটি পড়া—سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ، وَبِحَمْدِهِ ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ অর্থ: ‘মহান আল্লাহর প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি।’
হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ ১০০ বার পাঠ করে, এতে মহান আল্লাহ তাকে (কেয়ামতের দিন) সৃষ্টিকুলের সব মানুষ থেকে বেশি মর্যাদা দান করবেন। (আবু দাউদ: ৫০৯১)
৩) প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় ১০০ বার এই জিকির করা— سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ অর্থ: ‘আমি আল্লাহর সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি।’
কেউ সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করলে কেয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশি সওয়াব নিয়ে আর কেউ উপস্থিত হতে পারবে না।(সহিহ মুসলিম: ৬৫৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪) প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তাসবিহে ফাতেমির সঙ্গে উপরে উল্লেখিত এক নম্বর দোয়া পড়ে ১০০ বার পূর্ণ করা।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদু লিল্লাহ, ৩৩ বার আল্লাহু আকবর আর ৯৯ বার পূর্ণ হওয়ার পর শততম পূর্ণ করতে বলবে, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’, তার গুনাহগুলো সাগরের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (মুসলিম: ৪৯০৬)
৫) প্রতিদিন ১০০ বার তওবা ও ইস্তেগফার করা। প্রিয়নবী (স.) বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। আমি দিনে ১০০ বার তওবা করি।’ (সহিহ মুসলিম: ৭০৩৪)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উপরোক্ত আমল প্রতিদিন ১০০ বার করে যথানিয়মে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।