ধর্ম ডেস্ক
০৩ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম
ইসলামে আশুরা (১০ মহররম) একটি অত্যন্ত মর্যাদাবান দিন। এদিন নবী করিম (স.) নিজে রোজা রাখতেন এবং সাহাবাদেরও তা রাখার নির্দেশ দিতেন। তবে কেউ যদি অসুস্থতা, সফর বা অন্যকোনো বৈধ কারণে রোজা রাখতে না পারেন, তাহলেও তিনি আশুরার দিনটি ইবাদত-বন্দেগি ও নেক আমলে কাটিয়ে বিপুল সওয়াব অর্জন করতে পারেন।
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘আমি আশা করি, আশুরার রোজা পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন— ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে আশুরা ও রমজানের রোজার মতো অন্য কোনো রোজাকে এত গুরুত্ব দিতে দেখিনি।’ (সহিহ বুখারি: ২০০৬)
তবে যারা রোজা রাখতে অক্ষম, তারা যেন এই দিনটি অবহেলায় না কাটান। কারণ আশুরা শুধু রোজার দিন নয়—এদিন রয়েছে আরও বহু ফজিলতপূর্ণ আমল।
আরও পড়ুন: মহররম মাসে যেসব রসম-রেওয়াজ থেকে দূরে থাকবেন
আরও পড়ুন: নামাজ না পড়লে জীবনে যেসব অশান্তি নেমে আসে
আল্লাহ তাআলার কাছে প্রতিটি নেক আমলই মূল্যবান। বিশেষ করে ফজিলতপূর্ণ দিনে নফল ইবাদতের সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। তাই যারা রোজা রাখতে না পারেন, তারা যেন অন্তত অন্য নেক আমলগুলো মিস না করেন।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে আশুরার মর্যাদা রক্ষা করার এবং এই দিনের ফজিলতপূর্ণ আমলগুলো পালন করার তাওফিক দিন। আসুন, আশুরার দিন হোক আমাদের নতুন করে গুনাহমুক্ত জীবনের সূচনা।