স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে দোয়া ও কিছু খাবার

ইসলামে দোয়ার গুরুত্ব অনেক। মুমিনরা যেকোনো কিছুর জন্য আল্লাহর কাছেই দুহাত তোলেন। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্যও মহান রবের কাছে দোয়া করার বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে খুবই কার্যকর। রাসুলুল্লাহ (স.) যখন ওহি মুখস্থ করতেন, অনেক ক্ষেত্রে তাঁর কষ্ট হয়ে যেত। তখন নিচের আয়াতটি নাজিল হয়, যেখানে সুন্দর একটি দোয়ার উল্লেখ আছে। ওই দোয়া পড়ার পর ওহি আয়ত্ত করতে তিনি প্রশান্তি লাভ করতেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন- فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ وَلَا تَعْجَلْ بِالْقُرْآنِ مِن قَبْلِ أَن يُقْضَى إِلَيْكَ وَحْيُهُ وَقُل رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا

আয়াতের শেষাংশে উল্লেখিত দোয়াটি হলো—رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا উচ্চারণ: রাব্বি জিদনি ইলমা। অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।’এই দোয়া নিয়মিত পাঠ করলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও স্মরণশক্তি বৃদ্ধির কয়েকটি উপকারী আমল হলো—

১. সব ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। ইসলামি বিশ্বাসমতে, গুনাহ হচ্ছে অন্ধকার আর জ্ঞান হচ্ছে আলো। তাই যেখানে গুনাহের পরিমাণ বাড়ে, সেখান থেকে জ্ঞানের নানা দিক দুর্বল হয়ে আসে।

৩. কোনো কোনো আলেম এমন কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন যেগুলো স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। যেমন- মধু ও কিসমিস খাওয়া। ইমাম যুহরি বলেন: তুমি মধু খাবে; কারণ এটি স্মৃতিশক্তির জন্য ভালো। তিনি আরও বলেন: যে হাদিস মুখস্থ করতে চায় সে যেন কিসমিস খায়। (খতিব আল-বাগদাদির ‘আল-জামে’ ২/৩৯৪)

৪. মুখস্থশক্তি বৃদ্ধি ও ভুলে যাওয়ার সমস্যা প্রতিরোধে আরও যে জিনিসটি সাহায্য করে, সেটি হচ্ছে-মাথায় শিঙ্গা লাগানো। ইংরেজিতে বলে কাপিং থেরাপি, আরবিতে হিজামা। এটি এমন প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যাতে মানুষের সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বিদ্যমান। মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘জিব্রাইল (আ.) আমাকে জানিয়েছেন যে মানুষ চিকিৎসার জন্য যত উপায় অবলম্বন করে, তার মধ্যে হিজামাই হলো সর্বোত্তম।’ (মুস্তাদরাকে হাকিম: ৭৪৭০)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপরোক্ত দোয়া, খাবার ও আমল যথাযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।