ঢাকা মেইল ডেস্ক
২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম
সবজির দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারকেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমাতে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাকওয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ক্রয়মূল্যে সবজি বিক্রি শুরু করেছে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার মিরপুর ও মোহাম্পদপুর, কক্সবাজার সদর, কুমিল্লার বরুড়া ও লালমাই উপজেলায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
বৃহস্পতিবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মাধ্যমে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা উপকৃত হচ্ছে। তারা এই কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন।
সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে কম দামে সবজি পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সম্পূর্ণ অলাভজনক ভিত্তিতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাকওয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গাজী ইয়াকুব। এমনকি সবজি কেনা থেকে শুরু করে ক্রেতার কাছে পৌঁছা পর্যন্ত গাড়ি ভাড়াসহ যাবতীয় খরচ বিক্রয় মূল্যের বাইরে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার রাজধানীর দুটি পয়েন্ট মিরপুর ১ নম্বরের আনসার ক্যাম্প-মধ্য পাইকপাড়া সড়কের প্রবেশমুখ এবং মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ ঘুরে ক্রেতাসাধারণদের মাঝে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা গেছে। সকালে সবজি আনার পরে মাত্র ঘণ্টা খানেকের ব্যবধানে সব শেষ হয়ে যায়। এতে লাউ প্রতি পিস ২৫ টাকা, প্রতি কেজি করলা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, লতি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, বেগুন ৫০, কাচা মরিচ ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

শনিবার ঢাকার মিরপুর ১২ নম্বর, মোহাম্মদপুর, কেরাণীগঞ্জ, লালবাগ, ফরিদপুর সদর ও ময়মনসিংহের ভালুকায় অনুরূপ বাজার পরিচালনা করা হবে বলে গাজী ইয়াকুব। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী এর পরিসর বাড়ানো হবে বলেও তিনি জানিয়ছেন। দেশব্যাপী নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মানবদরদী গাজী ইয়াকুবের ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনার সময়ে প্রতিষ্ঠিত তাকওয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সারাদেশ ফ্রি লাশ পরিবহন ও দাফন, অক্সিজেন সরবরাহ, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যাপক সুনাম অর্জন করে। পরবর্তী সময়ে প্রায় প্রতি বছর শৈত্যপ্রবাহ, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন সংকট মুহূর্তে অসহায় মানুষের সহয়তায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ব্যাপক সারা ফেলে সংগঠনটি। এছাড়া সম্প্রতি ফেনী ও কুমিল্লা জেলার বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে ব্যাপক ভিত্তিতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করে ব্যাপক সুখ্যাতি অর্জন করে।
জেবি