ধর্ম ডেস্ক
২২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম
নবীজির সুন্নাহর অনুসরণ ছাড়া কোনো কাজ ইবাদতে পরিণত হয় না। আবার সেই সুন্নাহ বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত কি না তা যাচাই করা মুমিনের কর্তব্য। দলিল বহির্ভূত, মনগড়া, ভিত্তিহীন, সমাজে প্রচলিত, লোকমুখে শোনা ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে আমল করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। বস্তুত এসব প্রচলিত আমলের কারণেই মানুষ বিদআত কিংবা কুসংস্কারে জড়িয়ে পড়ে।
অনেকের বিশ্বাস- আল্লাহু শাফি, আল্লাহু কাফি, আল্লাহ মাফি- এই বাক্যগুলো পড়ে ওষুধ খেতে হয়, বিসমিল্লাহ বললে ওষুধের কার্যকারিতা থাকে না। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কোরআন-হাদিসের কোথাও এ ধরনের কথা নেই। নবীজির হাদিস অনুযায়ী, যেকোনো কাজ বা খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলাই তথা আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করাই সুন্নত।
রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন- إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ طَعَاماً فَلْيَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ، فَإِنْ نَسِيَ فِي أَوَّلِهِ فَلْيَقُلْ بسمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ ‘তোমাদের কেউ যখন খাওয়া শুরু করে, সে যেন বলে, বিসমিল্লাহ (অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি) আর যদি, শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে ভুলে যায় তাহলে সে যেনো বলে- ‘বিসমিল্লাহি ফী আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহি’ (অর্থ: শুরুতে ও শেষে আল্লাহর নামে) (আবু দাউদ, হিসনুল মুসলিম: ২২৬ পৃষ্ঠা) অন্য বর্ণনামতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে বলতে হবে- بسم الله أَوَّلَه وآخرَه ‘বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু’ (অর্থ: শুরুতে ও শেষে আল্লাহর নামে)
আরও পড়ুন: প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ৪০ দোয়া
ওষুধের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। بسمِ اللَّهِ ‘বিসমিল্লাহ’ বলে ওষুধ সেবন করবেন। বিসমিল্লাহর সঙ্গে কেউ যদি ‘আল্লাহু শাফি’ (আল্লাহ শেফাদানকারী) বলেন, তাতেও সমস্যা নেই। এ ধরনের ভালো অর্থের যেকোনো বাক্য পড়া যাবে, সমস্যা নেই। তবে, সুন্নাহ মনে করে নয়। সুন্নাহ মনে করলেই যত সমস্যা। অন্ধবিশ্বাস থেকেই মানুষ নবীজির অনুসরণ থেকে, সুন্নাহ থেকে সরে পড়ে।
মূল বক্তব্য হলো- সুস্থতা দানকারী আল্লাহ। তাই আল্লাহর নাম নিয়েই ওষুধ খাওয়া উচিত। কোনো বাক্যকে দোয়ার নামে প্রচলন করা যাবে না। ভরসাও করতে হবে আল্লাহর ওপর। কারণ একই ওষুধে কেউ সুস্থ হয়, কেউ হয় না। সুস্থতা দেওয়ার মালিক আল্লাহ। হাদিসের ভাষ্য- ‘...যখন রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয় তখন আল্লাহ তাআলার হুকুমে আরোগ্য লাভ হয়’। (সহিহ মুসলিম: ৫৬৯৭) ঔষধ খাওয়ার দোয়া